আজকাল ওয়েবডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ ছিল গত ২৯ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। যা সে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। তবে এর ফলে বিরাট আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-কে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাত্র একটি সম্পূর্ণ হোম ম্যাচ খেলার জন্য পাক বোর্ড  ৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ৮৫ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে। বিপুল লোকসানের মুখোমুখি হওয়ায় কমেছে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি।

দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পিসিবি রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং করাচি এই তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কার করতে ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা (প্রায় ৫৮ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় করেছে। যা তাদের বাজেটের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, গোটা টুর্নামেন্ট্রের প্রস্তুতিতে ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। মহম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন দল ঘরের মাঠে মাত্র একটি খেলা খেলেছে  লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচটি টস ছাড়াই বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বাকি আটটি ম্যাচের মধ্যে আরও দু'টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সকলের আগে বিদায় নিয়েছে তারা। মাত্র পাঁচ দিনেই তাদের প্রতিযোগিতা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় পরের ম্যাচগুলিতে টিকিটের চাহিদা ছিল কম। তারা হোস্টিং ফি এবং টিকিট বিক্রয় এবং স্পনসরশিপ থেকে প্রাপ্ত অংশ হিসাবে মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিল। পিসিবিকে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৬৯ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আসন্ন জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ক্রিকেটারদের বিলাসবহুল হোটেলের বদলে সাধারণ হোটেলে রাখা হয়েছে। 

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে, "পিসিবি সম্প্রতি কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই ম্যাচ ক্রিকেটারদের ফি ৪০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করেছে। তবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি হস্তক্ষেপ করে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বোর্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বিভাগকে বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পিসিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সংশোধিত পরিমাণ প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সূত্রের ইঙ্গিত, ম্যাচ প্রতি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার টাকা কম।"