আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যাশেজের শুরু থেকে প্যাট কামিন্সের খেলা নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত যদি কামিন্স ছিটকেই যান, তাহলে দলের নেতৃত্ব ভার পড়বে স্টিভ স্মিথের কাঁধে। স্টিভ স্মিথ অবশ্য এমন দায়িত্বের জন্য তৈরি। 

আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির বিশাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন প্যাট কামিন্স এবং ট্রাভিস হেড। ভারতীয় মুদ্রায় ৫৮.২ কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় দুই অস্ট্রেলিয়ান তারকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন টি-২০ লিগে খেলার প্রস্তাব দেয় এক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু কামিন্স এবং হেড রাজি হয়নি। জাতীয় দলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখান দুই তারকা অস্ট্রেলিয়ান। দু'জনেই আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে যুক্ত। কামিন্স এবং হেডের সঙ্গে যথাক্রমে ১৮ এবং ১৪ কোটি টাকার চুক্তি। এছাড়াও একজন প্রথম সারির অস্ট্রেলিয়ান প্লেয়ার বার্ষিক চুক্তি থেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮.৭৪ কোটি পান। অধিনায়কত্বের স্টাইপেন্ড বাবদ ভারতীয় মুদ্রায় ১৭.৪৮ টাকা উপার্জন করেন কামিন্স। বিগ ব্যাশ নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাকি লগ্নিকারী সংস্থাদের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে। 

আরও পড়ুন: পাক ক্রিকেটে রাতারাতি পালাবদল, কিন্তু কেন? জেনে নিন খবরের ভিতরকার খবর

অনেকদিন ধরে পিঠের চোট সারিয়ে ওঠার লড়াই চালাচ্ছেন কামিন্সে। পুরোদস্তুর সেরে ওঠেননি তিনি। গত জুলাই থেকে কোনও ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট তিনি খেলছেন না। 

২১ নভেম্বর থেকে পারথে শুরু হবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে। স্মিথ জানিয়েছেন, কামিন্স এখনও বোলিং শুরু করেননি। তাই এই ম্যাচে কামিন্সকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 
 
স্মিথ বলেছেন, ''কামিন্স থাকলে দল আরও ভালো হয়ে ওঠে। আশা করি প্যাটসি সেরে উঠবে। যত বেশি টেস্টে কামিন্স খেলতে পারবে ততই দলের জন্য ভাল।'' 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'বিগ ব্যাশ লিগকে বেসরকারিকরণ করা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, রাজ্য সংস্থা এবং প্লেয়ারদের ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্লেয়ারদের বেতন বাড়বে। টি-২০ লিগকে আরও বেশি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।' অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় কামিন্স এবং হেডের। তবে তাঁদের বর্তমান বেতন দেশের সেরা অ্যাথলিটদের ধারেকাছে নয়। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার অস্কার পিয়াস্ত্রী। ৪০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার তাঁর রোজগার। তারপরই রয়েছেন এন‌বিএ প্লেয়ার জশ গিডি। তাঁর আয় ৩৮ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এই খেলাগুলোর প্রাইভেট মালিকানা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদে তাঁদের সতীর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়ার হেনরিচ ক্লাসেন গ্লোবাল টি-২০ লিগে খেলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। কিন্তু তাঁদের পথ অনুসরণ করেনি কামিন্স, হেড। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখান দুই অজি তারকার। 

আরও পড়ুন: 'ওরা টাকা কামাতে আসছে আমার দেশে আর দেশের ছেলেকেই অসম্মান করছে...', সন্দীপের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ নবির ...