আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর ভয়েই এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নিল না পাকিস্তান। এমন জল্পনা শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে হ্যান্ডশেক বিতর্কের পর এশিয়া কাপ না খেলার কথা নাকি ভাবছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেই জেদ আপাতত ত্যাগ করেছে তারা। বা বলা যায়, জয় শাহর আইসিসি’র কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ‘বয়কটে’র রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক সূত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ থেকে পিসিবির সরে যাওয়ার সম্ভাবনাই নেই। যদি আমরা সরে যাই, তাহলে জয় শাহের আইসিসি আমাদের উপর নির্বাসনের খাঁড়া নামিয়ে আনবে। যেটা পিসিবি একেবারেই চায় না। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় স্টেডিয়াম সংস্কারে যা খরচ হয়েছে, তাতে আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।’
এটা ঘটনা, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘাকে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত না মেলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।’ এই অভিযোগ পাওয়ার পর এসিসি চেয়ারম্যান তথা পাক মন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছিলেন, ‘ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অবিলম্বে ম্যাচ রেফারিকে সরানোর দাবি জানিয়েছে তারা।’
আরও পড়ুন: হুমকিই সার! যত গর্জাল তত বর্ষাল না পাকিস্তান, এশিয়া কাপ খেলতে থেকে গেল আমিরশাহিতেই ...
কিন্তু পাক দলের দাবি থাকলেও পাইক্রফ্টকে সরায়নি আইসিসি। ২০০৯ সাল থেকে আইসিসির ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেলে রয়েছেন পাইক্রফ্ট। একাধিক ম্যাচে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে তারা। যদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে না খেলেন শাহিনরা, তাহলে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হবে তাঁদের। সম্ভবত সেই কারণেই মত বদলে ফেলল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
এটা ঘটনা জানা গিয়েছিল যে প্রতিযোগিতা থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই। তাই আইসিসি–র জবাবের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল, যে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচ খেলবে। আমিরশাহিতেই থাকবে পাক দল। বুধবার আমিরশাহির বিরুদ্ধে গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান। সেই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে, ভারতের পর এই গ্রুপ থেকে দুই দলের মধ্যে কারা সুপার ফোর–এ যাবে।
প্রসঙ্গত, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের পর পাক অধিনায়ক সলমন আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। খেলা শেষেও সেই ছবি দেখা যায়। সাজঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রতিবাদে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বয়কট করে পাকিস্তান। এই ঘটনায় ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে নিশানা করে পাকিস্তান। তবে আইসিসি যে পাকিস্তানের দাবি মানবে না, তা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কারণ, পাকিস্তানের এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি ছিল না। ক্রিকেটে হ্যান্ডশেক নিয়ে কোনও আইন বা নিয়ম নেই। সৌজন্যের খাতিরে ক্রিকেটাররা তা করে থাকেন।
