আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শুরুর আগেই অধিনায়ক আঘা সলমনের চোটের কারণে চিন্তায় পড়ল পাকিস্তান শিবির। বুধবার দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমিতে দলের অনুশীলনে অংশ নিলেও অধিনায়ক সলমন আঘা বেশিরভাগ সময় অনুশীলনের বাইরে থাকেন। জানা গিয়েছে, ঘাড়ে হালকা স্প্যাজম রয়েছে তাঁর। সে কারণে তাঁকে ব্যান্ডেজ বেঁধে থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার ১২ সেপ্টেম্বর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। তার আগে সলমনকে নিয়ে শিবিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) জানিয়েছে, সলমনের চোট একেবারেই গুরুতর নয় এবং সতর্কতামূলক কারণে তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই তিনি পুরোদমে অনুশীলনে ফিরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ মাইক হেসনের অধীনে এবার নতুনভাবে গড়ে উঠছে পাকিস্তান দল। বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানের পর এবার নেতৃত্বে এসেছেন সলমন আঘা। ভারতের পাশাপাশি ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। প্রাক-সিরিজ সাংবাদিক সম্মেলনে সলমন বলেন, ‘আমরা কিছু মাস ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছি। টুর্নামেন্ট নিয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কেউই ফেভারিট নয়, এক-দু’ ওভারেই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে’।

এশিয়া কাপে নামার আগে পাকিস্তান উজ্জীবিত, কারণ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭৫ রানে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুই বর্ষীয়ান তারকাকে না পাওয়া প্রসঙ্গে ওয়াসিম আক্রম বলছেন, ‘এই দলটা ভালই করছে। বাবর ও রিজওয়ানকে চার-পাঁচ বছর ধরে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওরা ভাল করেছে ঠিকই তবে ধারাবাহিক ভাবে ভাল করতে পারেনি। বাবর-রিজওয়ান কেউই নেই। আমার মনে হয় এবার ওদের থেকে সরে যাওয়ার সময় এসেছে। তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। তরুণরাও যে খুব ভাল কিছু ইতিমধ্যেই করেছে, তা বলব না।

ওদের মানসিকতা বেশ ভাল। হেরে যাওয়ার ভয় নেই ওদের। হেরে যাওয়ার ভয় থাকলে চাপের মুখে ভেঙে পড়তে পারে। ফলে এই ছেলেরা হেরে যেতে হয়তো পারে, কিন্তু ওরা লড়ে যাবে। সলমন আঘা ভাল অধিনায়ক’। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই তারকা যে বাদ পড়তে চলেছেন, তার আভাস আগেই পাওয়ায় গিয়েছিল। সম্প্রতি টি-২০ ক্রিকেটে বাবর এবং রিজওয়ানের গড় এবং স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে খারাপ। ৩৪ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারে পাকিস্তান। ০-১ এ সিরিজে পিছিয়ে থেকে ২-১ এ জেতে ক্যারিবিয়ানরা। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ২৯৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯২ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।