আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ১০ উইকেটে জঘন্য হারের পর পাকিস্তান দলের সমালোচনা করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভি। টেস্টে এই প্রথম বাংলাদেশের কাছে হারল পাকিস্তান। দলের হারের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। শান মাসুদের অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে দল বাছাই, বাবা আজমের মতো টপ অর্ডারের ব্যর্থতা, বল হাতে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহদের ব্যর্থতা। সবটাই ভুলে ভরা। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের না নেওয়ার জন্য বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার কাঠগড়ায় তোলে পিসিবিকেও। কিন্তু বোর্ড প্রধান নাকভির দাবি, ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন প্রতিভাবান ক্রিকেটার নেই, যারা জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারে। তিনি বলেন, 'খুবই হতাশজনক হার। সমস্যা হল আমাদের কাছে কোনও ক্রিকেটারদের পুল নেই যেখান থেকে ক্রিকেটার বাছাই করা যেতে পারে।'
টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পিসিবির প্রধান জানান, পাকিস্তান ক্রিকেটের অস্ত্রোপচার করা হবে। খোল-নলচে বদলে ফেলা হবে। কিন্তু যে কে সেই! যে তিমিরে ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট, সেই একই তিমিরে আছে। যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেই স্পষ্ট। এখনও সমস্যার সমাধান খুঁজছেন নাকভি। তবে পাশাপাশি জানান, পাকিস্তানে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব রয়েছে। নাকভি বলেন, 'আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই। কিন্তু আমাদের কোনও পুল নেই। এলিট প্লেয়ারদের পুল নেই যেখানে থেকে আমরা ক্রিকেটার বাছাই করতে পারব।' এই অজুহাত দিয়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, এর জন্য দায়ী কারা? আঙুল উঠবে পিসিবির দিকেই। কেন টানা ব্যর্থতা সত্ত্বেও তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে পারছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড? কেন উঠে আসছে না ক্রিকেটার? একসময় জোরে বোলিংয়ের আঁতুরঘর ছিল পাকিস্তান। তাবড় তাবড় বোলার উঠে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে পেসারদের ব্যর্থতায় হারতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এর দায় কোনওভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেন না পিসিবির প্রধান। এদিকে লজ্জাজনক হারের পর নিজের এবং দলের ভুলের কথা স্বীকার করে নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ।
