আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরিয়ানি তাঁর খুব প্রিয়। উইকেট পিছু এক প্লেট বিরিয়ানির চুক্তিতে একদিন ক্রিকেটজীবন শুরু করেছিলেন। সেই মহম্মদ শামি দু' মাসের বেশি সময় হয়ে গেলেও বিরিয়ানি ছুঁয়ে দেখেননি। এ কথা জানিয়েছেন বাংলার পেস বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পাল। 

২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে চলতি মাসের ২২  তারিখ জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে সামির। 

অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তবেই সামিকে জাতীয় দলের পাসপোর্ট জোগাড় করতে হয়েছে। শিবশঙ্কর খুব কাছ থেকে সামির প্রত্যাবর্তনের লড়াই দেখেছেন। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে নেমেছেন সামি। বিজয় হাজারে, মুস্তাক আলিতেও খেলেন এই পেসার। শিবশঙ্কর বলছেন, ''চোট আঘাতের পরে মাঠে ফিরতে সময় লাগে ফাস্ট বোলারদের। ফিরে আসার জন্য মরিয়া ছিল সামি। ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও বল করার জন্য মুখিয়ে থাকত। একজন ক্রীড়াবিদের কাছে এটাই নিষ্ঠা।'' 

শিবশঙ্কর আরও বলছেন, ''কিছু বোলার খেলার শেষে আরও ৩০-৪৫ মিনিট বল করতে চাইছে। সবার আগে সকাল ছটায় মাঠে আসত সামি। দল তখনও মাঠেই পৌঁছয়নি।'' 

বিশ্বকাপে বল হাতে আগুন ধরিয়েছিলেন সামি। কিন্তু তার পরই  চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয়। চোট সারিয়ে সামি ফিরেছেন আবার। তাঁর চেনা পরিচিত ইডেন গার্ডেন্সেই জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরছেন তিনি। ২২ তারিখ তাঁর হাতে সাদা বল, ইডেন চিৎকার করছে সামি-সামি। এই দৃশ্যের কল্পনা এখন থেকেই করা যায়।