আজকাল ওয়েবডেস্ক: সবাই ভেবেছিল নিউজিল্যান্ড ভেঙে পড়বে। ম্যাচটাও বোধহয় হেরে যাবে। কিন্তু ক্রিকেট যে মহান অনিশ্চয়তার খেলা। কোন বাঁকে যে কী লুকিয়ে রয়েছে, তার খোঁজ কে রাখে! নিউ জিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে টানটান উত্তেজনা দেখা গেল।
৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একসময়ে ধুঁকছিল নিউ জিল্যান্ড। সেই নিউ জিল্যান্ডকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেন টিম রবিনসন ও বেভন জ্যাকবস। নির্ধারিত ২০ ওভারে কিউয়িরা করে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় ১৫২ রানে।
রবিনসন ও জ্যাকবসের রেকর্ড গড়া জুটি কিউয়িদের জয় এনে দিল বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। এই দুই ব্যাটার ভাল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করে দেন নিউজিল্যান্ডকে। বাকি কাজটা সারেন তাদের বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করল কিউইরা।

আরও পড়ুন: অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ীদের ভিড়, নতুন কে এলেন?
নিউ জিল্যান্ডের জয়ের নায়ক রবিনসন জীবনের সেরা ব্যাটিংটা করলেন চাপের মুখে। ৫৭ বলে তিনি ৭৫ রান করেন। ৩টি ছক্কা ও ৬টি চারে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। অন্যদিকে জ্যাকবস ৩টি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে করেন ৩০ বলে ৪৪ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়েন রবিনসন ও জ্যাকবস। টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমবার ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়লেন কিউই ব্যাটাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সব দল মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রিয়াস গাউস ও হরমীত সিংয়ের ৯১ রানের জুটি ছিল আগের সেরা।

নিউ জিল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফিও। তিনটি করে উইকেট নেন এই দুই পেসার। ইশ সোধিও দরকারের সময়ে তুলে নেন উইকেট। টিম সাইফার্ট ৪টি চারে ২২ রান করেন। তিনি অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি লুঙ্গি এনগিডির জন্য। ডেভন কনওয়ে মাত্র ৯ রানে ফিরে যান।
ড্যারিল মিচেল, মিচেল হে ও জেমস নিশাম ব্যর্থ হন। জিমি নিশাম এদিন খাতা খুলতে পারেননি। কিউয়িদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সাত বার শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের নাম জিমি নিশাম। দশম ওভারে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন রবিনসন ও জ্যাকবস।
এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ল। অবিচল ছিলেন রবিনসন। ৪৩ বলে পঞ্চাশ করেন তিনি। অন্য প্রান্তে জ্যাকবস দ্রুত রান বাড়ানোর চেষ্টা করে যান। শেষ ৫ ওভারে ৬৩ রান তোলে নিউজিল্য়ান্ড।
আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাক দেখেছিলেন প্রিটোরিয়াস। এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন তিনি। ৬টি চার মারেন। ১৭ বলে ২৭ রান করেন প্রিটোরিয়াস। ম্যাট হেনরির বলে ফেরেন তিনি।

পরের ওভারে রুবিন হারমানকে ড্রেসিং রুমে পাঠান জ্যাকব ডাফি। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার। যখন চাপ ক্রমশ বাড়ছে, তখন পালটা আক্রমণের রাস্তা নেন ব্রেভিস। তিনটি ছক্কা ও একটি চারের সৌজন্যে ১৮ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি।
এর পরেও কিছুক্ষণ লড়াই চালান জর্জ লিন্ডা। ২টি ছক্কা ও ১ চারে ৩০ রান করা লিন্ডাকে ফেরান ডাফি। পাঁচ বলের মধ্যে প্রোটিয়াদের শেষ তিন উইকেট ফেলে দিয়ে কিউয়িরা ম্যাচ বের করে নেয়।
আরও পড়ুন: মেগা আইসিসি রেকর্ড কোহলির, টেস্ট-টি ২০ থেকে অবসরের পরও গড়লেন নয়া নজির
