আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৮ বছর পর ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন নোভাক জকোভিচ। অপ্রত্যাশিত হারের পর নিজের খেলায় ক্ষুব্ধ তারকা টেনিস খেলোয়াড়। কোনও রাখঢাক না করেই বলে বসলেন, নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে জঘন্য টেনিস খেলেছেন। জকোভিচ বলেন, 'টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমি যে টেনিস খেলছিলাম, তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত যাওয়া সাফল্য। আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ টেনিস খেলেছি আমি এবার।' কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জেতার পর হঠাৎ পারফরম্যান্স গ্রাফে এতটা পতন কেন? অলিম্পিককেই দায়ী করলেন জোকার। তিনি মনে করেন, মাত্র চার সপ্তাহ আগে প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জয়ে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই ব্যর্থতা। জকো বলেন, 'অবশ্যই প্যারিস অলিম্পিকের প্রভাব পড়েছে। সোনা জিততে আমি নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছি। তারপর আমি মানসিক এবং শারীরিকভাবে চাঙ্গা ছিলাম না। তবে যেহেতু এটা ইউএস ওপেন, আমি একটা চেষ্টা করেছিলাম। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করেছি। আমার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। কিন্তু সেই দম ছিল না।' 

শুক্রবার অ্যালেক্সেই পপিরিনের কাছে হেরে তৃতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান সার্বিয়ান তারকা। ম্যাচের ফলাফল ৬-৪, ৬-৪, ২-৬, ৬-৪। এদিন নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না বিশ্বের সেরা টেনিস তারকা। মোট ১৪টি ডবল ফল্ট করেন। তার সঙ্গে ৪৯টি আনফোর্সড এরর। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম মরশুমে গ্র্যান্ডস্লামহীন জকোভিচ। গোটা বছরটাই খারাপ গিয়েছে তাঁর। ফরাসি ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালের আগের দিন চোটের জন্য টুর্নামেন্ট থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। মরশুমের বাকি তিনটে গ্র্যান্ডস্লামে শুধুই ব্যর্থতা। খোয়ান একনম্বর স্থানও। বছরটা ভুলে যেতে চাইবেন ৩৭ বছরের জকো। তবে পরের বছর তাঁকে আবার কোর্টে দেখা যাবে কিনা জানা নেই। এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি ২৪টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। তবে ২৫তম খেতাব জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানোর আরও একটা চেষ্টা হয়তো তিনি করবেন।