আজকাল ওয়েবডেস্ক: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এশীয় স্তরে গ্রুপ লিগে খেলবে সেপাহান এসসি, আহাল এফসি এবং জর্ডনের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে। কোন দলের সঙ্গে কবে খেলা তাও সামনে এসে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসিএল টুয়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান। তাদের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তানের আহাল এফসি। আহাল প্লে-অফে কোয়ালিফাই করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-খেলছে। তবে ১৬ সেপ্টেম্বর হোম ম্যাচের পর মোহনবাগানকে পরপর দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান খেলবে ইরানের সেপাহানের বিরুদ্ধে এবং ২১ অক্টোবর তারা খেলবে জর্ডনের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে।
৪ নভেম্বর ফের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে সবুজ মেরুন। ২৬ নভেম্বর আহাল এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে এবং ২৩ ডিসেম্বর সেপাহানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ হবে বাগানের। গত বছর যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইরানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে যেতে পারেনি মোহনবাগান। তারপর টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হয়। তবে সেই ভুলে গিয়ে এবার ফের ডুরান্ড কাপকে সামনে রেখে এশিয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মলিনা। শুক্রবার লটারি হয়ে গেল সেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর। আর এই ড্রয়ের সবথেকে বড় খবর ভারতে খেলতে আসছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আল নাসর। তবে দলের সঙ্গে রোনাল্ডো আসবেন কিনা তা জানা নেই।
কিন্তু এখনই উত্তেজনায় ফুটতে শুরু করে দিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু কলকাতা নয়, রোনাল্ডোর আল নাসর একই গ্রুপে পড়েছে এফসি গোয়ার সঙ্গে গ্রুপ সি-তে। মানেলো মার্কুয়েজের দল আল নাসরের সঙ্গে গোয়ার মাঠে খেলবে ২২ অক্টোবর। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট পড়েছে গ্রুপ ডি-তে। তবে সবুজ মেরুনের প্রতিপক্ষরাও বেশ কঠিন। মোহনবাগানের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে ইরানের সেপাহান এফসি, জর্ডনের আল হুসেইন এবং তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফসি। সম্প্রতি, জোর জল্পনা চলেছে আল নাসর এবং মোহনবাগান একই গ্রুপে পড়তে পারে কিনা এবং তার সম্ভাবনাও ছিল জোরদার। কিন্তু ভারতে আসলেও কলকাতায় আসা হচ্ছে না আল নাসরের।
মোহনবাগানের প্রতিপক্ষদের মধ্যে ইরানের সেপাহান এশিয়ান ফুটবলে বড় নাম—২০০৭ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট-এ রানার্স আপ হয়েছিল। আহল এফসি তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব। এফসি গোয়ার মতোই তারাও এবার প্লে-অফ জিতে এসিএল টু-এর গ্রুপ পর্বে উঠেছে। রয়েছে জর্ডনের ক্লাব আল হুসেইনও যারা ঘরোয়া লিগে বেশ শক্তিশালী দল। তবে এএফসি-তে একবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল এবং একবার কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি যেতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, এফসি গোয়ার সঙ্গে একই গ্রুপে পড়েছে রোনাল্ডোর আল নাসর, তাজিকিস্তানের এফসি ইস্তিকল এবং ইরাকের এফসি জাওরা।
এদিন গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে। মোহনবাগান এবং এফসি গোয়া দু’দলই পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের ড্রয়ে ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের দলগুলোকে ভাগ করা হয়েছিল মোট চারটি পটে। মোহনবাগান ছিল পট ৩-এ এবং এফসি গোয়া পট ৪-এ। পট এ-তে ছিল সেপাহান (ইরান), আল নাসর (সৌদি আরব), আল ওয়াসল (সংযুক্ত আরব আমিরশাহী), আল আহলি (কাতার)। পট বি-তে ছিল এসতেঘলাল (ইরান), পিএফসি আন্দিজন (উজবেকিস্তান), আল জাওরা এসসি (ইরাক), আল হুসেইন (জর্ডন)। পট সি-তে ছিল আল মুহাররাক (বাহরাইন), মোহনবাগান (ভারত), এফসি ইস্তিকলল (তাজিকিস্তান), এফকে আরকাদাগ (তুর্কমেনিস্তান)। পট ডি-তে ছিল আল ওয়েহদাত (জর্ডান), আল খালদিয়া (বাহরাইন), এফসি গোয়া (ভারত), আহাল এফসি (তুর্কমেনিস্তান)।
