মোহনবাগান - ১ (লিস্টন)

বেঙ্গালুরু এফসি - ০

আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বির পর প্রথম জয়। প্রায় ৪২ হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে জোড়া ড্রয়ের পর জয়ের সরণিতে সবুজ মেরুন। সোমবার যুবভারতীতে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগ শিল্ডের আরও কাছে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা লিস্টন‌ কোলাসো। গোলের পর উচ্ছ্বাসে জার্সি, ভেস্ট খুলে কর্নার ফ্লাগের কাছে গিয়ে সেলিব্রেশন করেন লিস্টন। ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট হোসে মলিনার দলের। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গোয়ার পয়েন্ট ৩৩। তিন পয়েন্টে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন মোলিনা। জিতলেও দলের খেলায় খুশি হতে পারবেন না বাগান কোচ। খুব বেশি ভাল মানের ফুটবল খেলতে করেনি কোনও দলই। 

চেন্নাইয়ের সঙ্গে ড্রয়ের পর বেঙ্গালুরু ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটেননি মোলিনা। প্রথম একাদশে ফেরান জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, আপুইয়াকে। ফরমেশন যদিও এক। ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে ৪-২-৩-১ ছকে দল সাজান বাগানের স্প্যানিশ কোচ। অন্যদিকে প্রথম একাদশে সুনীল ছেত্রীকে রাখেন বেঙ্গালুরু কোচ। ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল সাজান। জেরার্ড জারাগোজা। প্রথম আধ ঘণ্টা সেফ ফুটবল খেলে দুই দলই। কোনও সুযোগ নেই। মাঝমাঠেই বল ঘোরাফেরা করে। তারমধ্যে অসংখ্য মিস পাস দুই দলেরই। ম্যাচের প্রথম সুযোগ ২৮ মিনিটে। রায়ান উইলিয়ামসের শট বাঁচান বিশাল কাইত। ৫০-৫০ সুযোগ। তবে বিরতির ঠিক আগে দলকে এগিয়ে দিতে না পারার জন্য আফশোস করবেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের। নোগুয়েরার পাস থেকে পা ছোঁয়ালেই গোল। সেই অবস্থায় মনবীর এবং অ্যালবার্তোর মাঝখান দিয়ে বাইরে মারেন সুনীল। 

প্রথমার্ধে খুব উন্নতমানের ফুটবল না হলেও গোলের সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগানও। প্রথম ৩০ মিনিটে কিছুটা ম্লান দেখায় মোলিনার দলকে। কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারে বেঙ্গালুরুর রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে সবুজ মেরুন। মিনিট দশকে একাধিক সুযোগ। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে স্টুয়ার্টের শট তালুবন্দি করেন গুরপ্রীত।‌ তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবার মিস। লিস্টনের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে বাঁচান বেঙ্গালুরুর কিপার। বিরতির পরই আবার গোলের সুযোগ পায় বাগান। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে দীপক টাংরির হেড ডানদিক ঝাঁপিয়ে বাঁচায় গুরপ্রীত। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল। তবে কাজের কাজ করেন লিস্টন কোলাসো। স্টুয়ার্টের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে রাহুল বেকের হেড লিস্টনের পায়ের সামনে পড়ে। কোনওদিকে না দেখে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরাল ভলিতে গোল গোয়ার উইঙ্গারের। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় বেঙ্গালুরু। ৯০+৩ মিনিটে রায়ানের কর্নার থেকে রাহুল বেকের হেড ক্রসপিসের ওপর দিয়ে ভেসে যায়। খুব ভাল ফুটবল না হলেও গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেয় মোহনবাগান। এদিন ম্যাচের শুরুতে এক বিশাল টিফো নামানো হয়েছিল গ্যালারিতে। যেখানে ব্রিটিশ আমলের ফুটবল থেকে মোহনবাগানের ১৯১১ শিল্ড জয়ের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। এমন একটি দিনে সমর্থকদের খালি হাতে ফিরতে দেয়নি লিস্টনরা।‌