মোহনবাগান - ১ (সুহেল)
এফসি গোয়া - ৩ (ব্রাইসন, ইকের-পেনাল্টি, বোরহা)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপে যাত্রা শেষ আইএসএল জয়ীদের। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ছিটকে গেল মোহনবাগান। বুধবার গোয়ার কাছে ১-৩ গোলে হার বাস্তব রায়ের দলের। ভিলেন ধীরজ সিং। তিনের মধ্যে দুটো গোলই বাগান কিপারের ভুলে। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরে আশিক, সাহালরা। তিন মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা ফেরায়। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন ১-১ ছিল। প্রথম ৪৫ মিনিটে দাপট বেশি ছিল বাগানের। নজর কাড়েন সালাউদ্দিন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ধীরজের একটি ভুলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় গোয়া। আট মিনিটের মধ্যে বদলে যায় ম্যাচের রং। জোড়া গোলে এগিয়ে যায় মানোলো মার্কুয়েজের দল। একাই পার্থক্য গড়ে দেন বোরহা ফার্নান্দেজ। দুটো গোলেই অবদান স্প্যানিশ তারকার। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এর আগে ১৫টি ম্যাচে বিশেষ সাফল্য ছিল না মানোলোর। মাত্র ৪টি ম্যাচ জিতেছিলেন। শেষলগ্নে বাজিমাত।
শুরুটা ভাল করে গোয়া। প্রথমদিকে ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রথম ১০-১৫ মিনিট বাদ দিলে প্রথমার্ধের বাকি সময়টা মোহনবাগানের। ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন সালাউদ্দিন। কেরল ম্যাচের পর এদিনও নজর কাড়লেন। দুই উইং দিয়ে আক্রমণে উঠছিল বাগান। কিন্তু ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় গোয়া। বোরহার কর্নার থেকে বল ব্রাইসন ফার্নান্দেজের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তবে সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। আগের ম্যাচে সালাহ, সাহাল, আশিক, সুহেলের চতুর্ভুজে কেরল বধ করেছিল বাগান। এদিন আশিক, সুহেল যুগলবন্দিতে ম্যাচে ফেরে সবুজ মেরুন। বাঁ দিক থেকে আশিকের ক্রস থেকে গোল সুহেল ভাটের। কিন্তু অনভিজ্ঞতার খেসারত দিতে হল কলকাতার প্রধানকে। ডোবালেন ধীরজ সিং।
বাগান গোলকিপারের ব্যক্তিগত ভুলে ছিটকে গেল আইএসএল জয়ীরা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে পেনাল্টি পায় গোয়া। ক্রজিচকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ধীরজ। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইকের গুয়ারতসেনা। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ধীরজের ভুলের জন্য সুপার কাপ শেষ কলকাতার প্রধানের। দ্বিতীয়ার্ধের আট মিনিট পার্থক্য গড়ে দেয়। বরং বলা চলে, গোয়াকে ম্যাচ উপহার দিলেন ধীরজ। সুপার কাপে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েও হারালেন। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে সরাসরি গোল বোরহা ফার্নান্দেজের। বাঁ পায়ের সোয়ার্ভিং শটে অনবদ্য গোল। বল পোস্টে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তবে এবারও দায়ী সেই ধীরজ। তাঁর ভুল পজিশনিংয়ের জন্যই জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ে বাস্তব রায়ের দল। দু'গোলে পিছিয়ে পড়ার পর তরুণ, অনভিজ্ঞ দলের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়। অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায়। প্রথমার্ধে যে লড়াইটা করে আশিক, সালাহরা, দ্বিতীয়ার্ধে সেটা পারেনি। জোড়া গোলের পর ম্যাচ অনেকটাই গোয়ার হাতের মুঠোয় চলে আসে। তবে ৬৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর একটা সুযোগ ছিল বাগানের সামনে। বিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়েন সালাহ। কিন্তু পায়ের জঙ্গলে আটকে যায়। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে অফসাইডের জন্য সুহেলের গোল বাতিল হয়ে যায়। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় গোয়াও। কিন্তু শেষদিকে জোড়া সুযোগ মিস মানোলোর দলের। মোহনবাগানকে হারিয়ে এবার দ্বিতীয়বার সুপার কাপ জেতার হাতছানি গোয়ার সামনে।
