কৌশিক রায় মোহনবাগান আর ‘‌৯৩’‌, গত কয়েকদিনে এই দুটো শব্দ একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেই ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে সল্টলেকে পেত্রাতোস গোল করেছিলেন ৯২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। এদিন শেষবেলায় ঠিক ৯৩ মিনিটে গোল করে দলকে ফাইনালে তুললেন আপুইয়া। দেখার মতো গোল, জামশেদপুর গোলকিপার অ্যালবিনো গোমসের কিছুই করার ছিল না। ঝাঁপিয়ে পড়ে একটা শেষ চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। জামশেদপুরে হারের পর মোহনবাগান ফুটবলাররা বলেই দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠে তাঁরা জান লড়িয়ে দেবেন। হলও তাই, ৯০ মিনিট ধরে শুধু ডিফেন্স করে গেলেন প্রণয় হালদাররা। কিন্তু এই দুর্ধর্ষ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুধু ডিফেন্স করে ম্যাচ বাঁচানো যায় না।

এদিন কামিংস, ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা। ফিট হয়ে দলে ফিরেছিলেন আপুইয়া। ৫৮,০০০ দর্শকের সামনে প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলেন সবুজ মেরুন ফরোয়ার্ডরা। প্রথম সুযোগ আসে ৮ মিনিটের মাথায়। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে থাপা গোমসের হাতে মারেন। ১৮ মিনিটের মাথায় আলবার্তোর জোরালো শট গোললাইন সেভ করেন সৌরভ দাস। ৩৭ মিনিটের মাথায় কামিংসের কর্নার বারের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হলেও আধিপত্য ছিল মোহনবাগানেরই। সমতা ফেরানোর গোল অবশেষে এল ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। বক্সের ভেতর প্রণয় হালদার হ্যান্ডবল করলে স্পট কিক থেকে ভুল করেননি কামিংস। সমতা ফিরিয়ে আরও আক্রমণ বাড়ায় সবুজ মেরুন। আশিক কুরুনিয়ানের জায়গায় নামেন মনবীর। কামিংসের জায়গায় আসেন দিমিত্রি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ গড়াবে ইনজুরি টাইমে।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন আপুইয়া। প্রণয় হালদারের মিসপাস থেকে অনিরুদ্ধ থাপা বল বাড়িয়ে দেন বাগানের ডিফেন্সিভ মিডিওকে। সেখান থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এই নিয়ে পরপর তিনবার আইএসএলের ফাইনাল খেলবে মোহনবাগান। ১২ এপ্রিল সবুজ মেরুনের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। আরও একবার মেগা ফাইনাল হচ্ছে কলকাতাতেই। উল্লেখ্য, এদিন সেমিফাইনাল দেখতে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ।