আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। শনিবার বৈঠকে তুলকালাম কাণ্ড। নির্বাচন নিয়ে শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বিরোধী গোষ্ঠী। ক্ষণিকের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চেয়ার ছোড়াছুড়িও হয়। একজন মহিলা সদস্য আহত হয়েছেন। কিন্তু যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেন মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ, সচিব দেবাশিস দত্ত এবং প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। জানানো হয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচি ঠিক করা হবে। সেই বৈঠকে বিরোধী গোষ্ঠীর কয়েকজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। 

মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভার ঝামেলাকে গুরুত্ব দিতে চাননি বর্তমান এবং প্রাক্তন সচিব দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু। দু'জনেই জানান, এক পরিবারের মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক। দেবাশিস দত্ত বলেন, 'নিয়ম মেনে আইনত যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হওয়া উচিত, তাই হবে। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকব। যারা দ্রুত নির্বাচন করতে চাইছে, সেই বৈঠকে তাঁদেরও ডাকা হবে। এদিন হয়তো ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তবে চেয়ার ছুড়ে মেরেছে কিনা আমার জানা নেই। আমরা ফুটবলের সমর্থক। একটু উত্তেজনা থাকবেই। নব্বই মিনিট আমাদের শরীরে আগুন জ্বলে। হালকা ঝামেলা হয়েছিল, কিন্তু সেটা সঙ্গে সঙ্গেই মিটে গিয়েছে। এটা কোনও ঘটনাই নয়। অতীতে এজিএমে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই তুলনায় এটা কিছুই না।' সৃঞ্জয় বসুও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, 'ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি একটা মিটিংয়ে হয়। কিন্তু আমরা মোহনবাগান পরিবার। একটা বাড়িতে দশটা ভাই থাকলে সেখানেও তর্কাতর্কি হতে পারে। মোহনবাগান পরিবারে ছোট ঘটনা হয়েই থাকে। আমার নির্বাচন নিয়ে কথা ছিল, সেই নিয়ে নানা দিক থেকে নানা মন্তব্য আসছিল। আমাদের একটাই দাবি, নির্বাচন স্বচ্ছভাবে করা হোক। এই কমিটি ২০২২ সালে দ্রুততার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে, আশা করছি সেই দ্রুততা দেখিয়ে এবছরও নির্বাচন সম্পন্ন করবে।' 

চলতি বছরের ১৮ মার্চ মোহনবাগানের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে গঠিত হয়েছিল এই কমিটি। নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু কোভিডের জন্য সেই বছর নির্বাচন হয়নি। পরের বছর নতুন কমিটি মনোনীত হয়। এদিন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সরগরম হয় বাগান তাঁবু। বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়ম নেমেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। অর্থাৎ, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যা শেষ করতে বেশ কয়েক মাস লেগে যাবে। তারই বিরোধিতা করেন সৃঞ্জয় বসু। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। তারপরই ঠিক হয় ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরবর্তী কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।