আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেড় মাস আগে আইএসএলে একমাত্র এবং শেষ জয় এসেছে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিতেছিল মহমেডান। তারপর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। হারের হ্যাটট্রিক। পরপর মোহনবাগান, কেরল ব্লাস্টার্স এবং হায়দরাবাদের কাছে হার। তারমধ্যে ঘরের মাঠে নিজামের দলের বিরুদ্ধে চার গোলের লজ্জার হার কাঁটা হয়ে বিঁধছে। অভিষেক বছরে আইএসএলের শুরুটা আশা জাগিয়েছিল। প্রথম ম্যাচে হারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র এবং তৃতীয় ম্যাচ জিতেছিল। আগ্রাসী ফুটবল খেলছিল কলকাতার তৃতীয় প্রধান। কিন্তু তিন ম্যাচ যেতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সাদা কালো ব্রিগেড। ছন্দপতন শুরু হয় মোহনবাগান ম্যাচ থেকে। দাঁড়াতেই পারেনি আন্দ্রে চের্নিশভের দল। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে লড়লেও, ঘরের মাঠে কমজোরী হায়দরাবাদের কাছে আত্মসমর্পণ। টানা তিন ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকায় দ্বাদশ স্থানে। রুশ কোচের চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ে ভাবতে চান না। প্রথম তিন ম্যাচের কথা তুলে দলকে তাতাতে চাইছেন। চের্নিশভ বলেন, 'আমরা প্রথম তিন ম্যাচে ভাল খেলেছিলাম। এখন আর সেই কথা কেউ বলে না। এটাই ফুটবল। আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা প্রথম তিন ম্যাচে যা খেলেছিলাম, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও সেটাই খেলতে চাই। ফুটবলারদের মধ্যে একটা উত্তেজনা আছে।'
মিনি ডার্বিই হয়তো তাঁর কাছে শেষ সুযোগ। তারপর বিদায়ঘণ্টা বেজে যেতে পারে। এই প্রসঙ্গ উঠতেই রিয়েল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তির উদাহরণ টানেন মহমেডান কোচ। চের্নিশভ বলেন, 'আমি সেইসব নিয়ে ভাবছি না। একদিন কেউ বলবে আমিই সেরা কোচ। পরেরদিন অন্য কেউ বলবে আমিই সবচেয়ে খারাপ। তাই সেই নিতে ভাবছি না। বর্তমানে অনেকেই আনচেলত্তির সমালোচনা করছে। কারণ তাঁর দল বাজে খেলছে। তেমনই আমারও সমালোচনা হচ্ছে। কোচদের সবধরণের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয়।' আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় এখনও হাতেখড়ি হয়নি ইস্টবেঙ্গলের, তাসত্ত্বেও কলকাতার দ্বিতীয় প্রধানকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন মহমেডান কোচ। চের্নিশভ বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব। আইএসএলে ভাল খেলতে না পারলেও এএফসির সাফল্য ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। ফুটবলারদের মানসিকতা বদলাতে হবে।' শেষ তিন ম্যাচে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে অভিজ্ঞতার অভাবকেই দায়ী করলেন রুশ কোচ। তবে সেটা কাটিয়ে লিগের তলানিতে থাকা দলের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনই লক্ষ্য।
