আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বিতে নামার আগেই মোহনবাগানের জন্য সুখবর। লিগ শিল্ডের দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল হোসে মোলিনার দল। শনিবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুকে ১-০ গোলে হারাল মহমেডান স্পোর্টিং। ৮৮ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন মিরজারোল কাসিমভ। যার ফলে ১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্টেই আটকে থাকল বেঙ্গালুরু। ব্যবধান আরও বাড়ল মোহনবাগানের সঙ্গে। অন্যদিকে ১৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট কলকাতার প্রধানের। ঘরের মাঠে সুনীলদের কাছে ১-২ গোলে হেরেছিল মহমেডান। এবার তার বদলা নিল। পাঁচ বছর পর কলকাতার ক্লাবকে একই মরশুমে দু'বার হারানোর সুযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। ২০১৮-১৯ মরশুমে এটিকেকে দু'বার হারায় সুনীলরা। কিন্তু এবার আরেক কলকাতার দলের বিরুদ্ধে সেই স্বপ্নপূরণ হল না। শেষ পাঁচ ম্যাচে গোল পায়নি মহমেডান। কিন্তু জোড়া ড্রয়ের পর অবশেষে জয়ে ফিরল।
প্রথম পর্বে মহমেডানকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেদিন পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে বাজিমাত করেন সুনীল ছেত্রী। একটি গোল করেন, অন্যটি করান। কিন্তু ঘরের মাঠে প্রথম একাদশে ছিলেন সুনীল। বেশ কয়েকটা সুযোগও পান। কিন্ত এদিন কাজে লাগাতে পারেননি। একটি দর্শনীয় বাইসাইকেল কিকও মারেন। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি। গোলের নীচে দুর্দান্ত পদম ছেত্রী। ৫৮ মিনিটে সুনীলের নিশ্চিত গোল বাঁচান মহমেডান গোলকিপার। ম্যাচের শুরু থেকেই বিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে বেঙ্গালুরু। রায়ান উইলিয়ামসের শট বাঁচান পদম ছেত্রী। মহমেডানের প্রথম পজিটিভ সুযোগ ২৪ মিনিটে। ফ্রাঙ্কার শট বিপক্ষের পায়ের জঙ্গলে ব্লক হয়ে যায়। প্রথমার্ধে গোলের নীচে অনবদ্য মহমেডান কিপার। প্রশংসা করতে হবে রক্ষণেরও। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তেকাঠিতে ঢোকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল কলকাতার প্রধানের সামনেও। কিন্তু অ্যালেক্সিস গোমেজের শট পোস্টে লাগে। বেশ কয়েকটা সুযোগ পায় বেঙ্গালুরুও। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। নব্বই মিনিটের শেষে তার জন্য আফশোস হবে সুনীলদের। তবে আন্দ্রে চের্নিশভের দলের প্রশংসা করতে হবে। লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের বিরুদ্ধে গুটিয়ে থাকেনি সাদা কালো ব্রিগেড। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। শেষমেষ তারই ফল মিলল।
