আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ সিরাজ চলতি বছরের আগস্ট মাসের জন্য আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থের মনোনয়ন পেয়েছেন। মূলত, ইংল্যান্ডে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য এই মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডেন সিলসও পুরুষদের বিভাগে শর্টলিস্টেড হয়েছেন। ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে ভারতের ঐতিহাসিক ছ’ রানে জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন সিরাজ। ম্যাচের পঞ্চম দিনে ৫/১০৪ বোলিং ফিগার নিয়ে তাঁর পঞ্চম টেস্ট পাঁচ উইকেট শিকার সম্পূর্ণ করেন তিনি। ভারত ৩৭৪ রানের টার্গেট ডিফেন্ড করে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে সঙ্কীর্ণ জয় তুলে নেয়।

এই ম্যাচেই ৯/১৯০ নিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ ফিগারও পান সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তিনি সর্বোচ্চ ২৩টি উইকেট নেন, যার মধ্যে দুটি পাঁচ উইকেট শিকার। সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডেন সিলস পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ২-১ ওডিআই সিরিজ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন বল হাতে। ১৯৯১ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিলস তিন ইনিংসে ১০ উইকেট নেন গড়ে ১০ রান দিয়ে এবং ইকোনমি ৪.১০ রেখে। সিরিজ ডিসাইডারে তিনি ৬/১৮ নেন, পাকিস্তানকে ৯২ রানে গুটিয়ে দেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০২ রানের জয়ে পৌঁছে দেন।

নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরিও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২-০ টেস্ট সিরিজ জয়ে তিনি সিরিজ সেরা হন। বুলাওয়েতে দুটি টেস্ট মিলিয়ে তাঁর ফিগার ছিল যথাক্রমে ৯/৯০ এবং ৭/৫৬। অন্যদিকে, মহিলা বিভাগে পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার মুনিবা আলি, আয়ারল্যান্ডের অলরাউন্ডার অর্লা প্রেন্ডারগাস্ট এবং নেদারল্যান্ডসের বোলার আইরিস জভিলিং মনোনীত হয়েছেন আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থের জন্য। ভোটের মাধ্যমে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমি, যেখানে বিশ্বের বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার রয়েছেন। এছাড়া ভক্তরাও আইসিসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভোট দিতে পারবেন।

অ্যান্ডারসন-গাভাসকর সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মহম্মদ সিরাজ। তুলে নেন ২৩ উইকেট। যশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। ইংল্যান্ড সফর শুরু হওয়ার আগেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দেয়, পাঁচের মধ্যে তিনটে টেস্টে খেলবেন তারকা পেসার। কিন্তু বুমরার অনুপস্থিতিতে সিরাজ যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেন, তাতে সবাই আশ্চর্য এবং অবাক। বিশেষ করে ওভাল টেস্টে। তারকা না থাকায়, সিনিয়র হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন। ওভাল টেস্টের শেষদিন জ্বলে ওঠেন। শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করতে সাহায্য করেন।

দেশের একনম্বর বোলারের অনুপস্থিতিতে সবসময় নিজেকে মেলে ধরার রহস্য কী? সিরাজ বলেন, 'দায়িত্ব পেলে আমার পারফরম্যান্স আরও ভাল হয়। সেটা মরা সিরিজ হলেও। দায়িত্ব আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আমার আনন্দ হয়। এজবাস্টনে আমি বলেছিলাম, লোকে আমাকে নিয়ে কথা বলছে। কথা বন্ধ করার সময় এসে গিয়েছিল। আমি জানি কী করছি। লোকে কী বলছে তাতে পাত্তা দিই না। কারণ লোকে আমার লড়াই জানে না। তাসত্ত্বেও আমার মনে হয়েছিল, এবার যাবতীয় কথা বন্ধ হওয়া উচিত। কারণ একটু বেশীই হয়ে যাচ্ছিল।'