আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রচুর জলঘোলা হয়েছে তাঁর ফিটনেস নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পারফরম্যান্স করেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। তিনি মহম্মদ শামি। বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি খেলতে কলকাতায় রয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে ডাক না পাওয়া নিয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নির্বাচকদের বিরুদ্ধে।
যে বোলারের ফিটনেস নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছিল সেই শামিই ৪০ ওভার বল করে ম্যাচে ফেরালেন বাংলাকে, বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট পড়ছিল না উত্তরাখণ্ডের। সেই উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট দিয়েছেন শামি।
প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছেন তিন উইকেট। উত্তরাখণ্ডকে ২৬৫ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর বাংলার কাছে লক্ষ্য ছিল ১৫৬ রানের। অভিমন্যু ঈশ্বরণের ৭০ রানের সুবাদে সেই রান সহজেই তুলে দেয় বাংলা দল। আট উইকেটে উত্তরাখণ্ডকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬ পয়েন্ট পেলেন অভিমন্যুরা।
আরও পড়ুন: ফের ভারত-বিরোধী উস্কানিমূলক ভাষণ পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, পারমাণবিক হামলার ইন্ধন?
তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের স্কোর ছিল দু'উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান। ১১০ রানের খামতি মিটিয়ে বাংলার চেয়ে ৫৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। ম্যাচ ড্র হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ইডেনের পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বলা হচ্ছিল, নিষ্প্রাণ পিচে সুবিধা পাচ্ছেন না ফাস্টবোলাররা।
তবে শনিবার ঘুরে দাঁড়ান বাংলার পেসাররা। শুক্রবারের রানের সঙ্গে আর ১০০ রান যোগ করে উত্তরাখণ্ড অল আউট হয়ে যায়। বিপক্ষের বাকি আট উইকেট তুলে নেন বাংলার বোলাররা। যার মধ্যে চার উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। সব মিলিয়ে ম্যাচে সাত উইকেট শামির। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি।
দুটি করে উইকেট নেন আকাশ দীপ এবং ঈশান পোড়েল। উত্তরাখণ্ডের দেওয়া লক্ষ্য ৩০ ওভারের মধ্যেই তুলে দেয় বাংলা। ৪৭ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি।
উল্লেখ্য, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে শামি বলেন, 'অনেক গুজব রটছে। মিমও ছড়িয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাদ পড়া নিয়ে লোকে আমার মতামত জানতে চায়। আমি শুধু বলতে চাই, দলে সুযোগ পাওয়া আমার হাতে নেই। এটা নির্বাচক কমিটি, কোচ এবং অধিনায়কের সিদ্ধান্ত।'
তিনি আরও বলেন, 'ওদের যদি মনে হয় আমাকে দরকার, আমাকে নেবে। ওরা যদি ভাবে আরও কিছুটা সময় দরকার, সেটা ওদের বিষয়। আমি তৈরি। নিয়মিত প্র্যাকটিস করছি। আমার ফিটনেস ভাল জায়গায় রয়েছে।'
বঙ্গপেসার জানান, 'মাঠের বাইরে থাকলে, নিজেকে মোটিভেট করা কঠিন হয়ে যায়। আমি দলীপ ট্রফিতে খেলেছি। আমি খুবই স্বচ্ছন্দ বোধ করেছি। আমি প্রায় ৩৫ ওভার বল করেছি। আমার কোনও ফিটনেস সমস্যা নেই।'
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন মহম্মদ শামি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় দলের দরজা তারকা পেসারের জন্য চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে আহামরি পারফরম্যান্স নেই শামির। গত মাসে ৩৫ বছরে পা রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা অত্যন্ত কঠিন। চলতি বছরের মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবার খেলেন শামি।
কিন্তু চোট-আঘাতের জন্য মাঝে শুধুই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। কিন্তু তেমন নজর কাড়তে পারেননি। ক্রিকেট মহলের মতে, সেই কারণেই তাঁকে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।
