আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোটের জন্য ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা পাননি। এবার চাপ আরও বাড়ল মহম্মদ সামির উপর। দেশের জার্সিতে সামি কবে ফিরবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এবার কি আইপিএলের দল থেকেও বাদ পড়বেন ভারতীয় পেসার? সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নতুন বোলিং কোচের কথায় তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
সোমবারই হায়দরাবাদ ঘোষণা করে দিয়েছে, জেমস ফ্রাঙ্কলিনের বদলে তাদের নতুন বোলিং কোচ হয়েছেন বরুণ অ্যারন। বরুণ আইপিএলের গত মরসুমে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিশ্লেষকের ভূমিকায় ছিলেন। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী মরসুমের আগে কোন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া উচিত হায়দরাবাদের। জবাবে সামির নাম করেছিলেন বরুণ। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সামির নাম করব। ও কেরিয়ারের শেষ দিকে এসে পৌঁছেছে। ওর ফিটনেস নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তাই ওকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আমি ঈশান কিশনের নামও বলব। ওদের কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ওদের ছেড়ে কম টাকায় ভাল ক্রিকেটার কেনা উচিত ছোট নিলামে।’
এটা ঘটনা, বরুণ হায়দরাবাদের নতুন বোলিং কোচ হওয়ার পর তাঁর সেই পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদের সমর্থকদের মতে, বরুণ জানিয়েছিলেন, সামিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এখন তো তিনি নিজেই কোচ। পরের মরসুমে বোলিং আক্রমণ কেমন হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। সুতরাং সামিকে যে আর পরের মরসুমে হায়দরাবাদের জার্সিতে দেখা যাবে না তা প্রায় নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মেগা নিলামে সামিকে ১০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল হায়দরাবাদ। শুরুর দিকের ম্যাচে তাঁকে খেলানোও হয়েছিল। কিন্তু ভাল খেলতে পারেননি সামি। ৯ ম্যাচে ৫৬.১৬ গড়ে মাত্র ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রচুর রান দিয়েছেন। শেষ দিকে তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখতে হয়েছে। এবার হয়তো দল থেকেই বাদ পড়বেন বাংলার পেসার। তাঁর যা ফিটনেস ও ফর্ম তাতে ছোট নিলামে নামলে সামি দল পাবেন কি না তা–ও নিশ্চিত নয়।
ঈশান মরসুমের শুরুটা ভাল করেছিলেন। আইপিএলে তাঁর প্রথম শতরান এসেছিল হায়দরাবাদের জার্সিতেই। কিন্তু তার পর ফর্ম খারাপ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৩৫৪ রান করেছেন তিনি। ৩৫.৪০ গড়ে রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। হায়দরাবাদের ওপেনিং জুটি ট্রেভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। তাঁরাও বাঁহাতি। ফলে তিন নম্বরে বাঁহাতি ঈশানকে আগামী মরসুমে না–ও রাখতে পারে হায়দরাবাদ। অন্তত গতিপ্রকৃতি তাই বলছে।
তবে এটাও ঘটনা এই সামিই কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন। একাধিক ম্যাচে পাঁচের বেশি উইকেট নিয়েছিলেন। সেই সামিই এখন বাতিলের তালিকায় যেতে চলেছেন।
আবার এটাও দেখতে হবে সামির বয়স ৩৪। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। অন্যদিকে বরুণ অ্যারনের বয়স ৩৫। চলতি বছরের শুরুতেই সব ধরনের প্রতিনিধিত্ব মূলক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। চোট–আঘাতের সমস্যা বারবার তাঁকেও ভুগিয়েছে। ভারতীয় দলে অভিষেক হয় ২০১১ সালে। কিন্তু চোটের জন্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। দেশের হয়ে ৯টি টেস্ট ম্যাচে ১৮টি উইকেট পেয়েছিলেন বরুণ। ৯টি ওয়ানডেতে উইকেট সংখ্যা ১১। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্সের আইপিএলও জেতেন।
