আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাল হলুদে‌ কুয়াদ্রাত জমানা শেষ। নতুন কোচের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। তালিকায় যে চারজন রয়েছে, সকলেই বিদেশি। ভারতে তথা বাংলায় বেশ কয়েকজন প্রো লাইসেন্স কোচ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের উপেক্ষা করা হয়। আইএসএলে কেন স্বদেশী বা বাঙালি কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হয় না, প্রশ্ন তুলে দিলেন মিহির বসু, অমিত ভদ্ররা‌।‌ দেশি কোচের হাতে ব্যাটন‌ তুলে দেওয়ার পক্ষে বাংলার প্রাক্তন ফুটবলাররা। মিহির বসু বলেন, 'বিদেশি কোচের মধ্যে এইমুহূর্তে হাবাস ছাড়া ভাল কোচ কেউ নেই। তবে ইস্টবেঙ্গল যাকেই অনুক, রেজাল্ট এতটা খারাপ হবে বলে মনে হয় না। তবে আমার মতে ভারতীয় কোচ আনা উচিত। বাংলায় যথেষ্ট ভাল মানের কোচ আছে। কিন্তু তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয় না। সুযোগ দিলে তবেই রেজাল্ট হবে। শঙ্করলাল চক্রবর্তী, সঞ্জয় সেনের মতো কোচ আছে।' একই মত অমিত ভদ্রের। তিনি বলেন, 'বিদেশি কোচ এসেও আহামরি কিছু করতে পারবে না। যদি তাই করতে পারত, তাহলে এতদিনে আমাদের আরও একটা সুনীল ছেত্রী তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু সেটা হয়নি।' 

মরশুমের সবে শুরু। আইএসএলের মাত্র তিনটে ম্যাচ হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, আরও কিছুটা সময় নিতে পারতেন কুয়াদ্রাত। তবে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ময়দানের। মিহির বসু বলেন, 'কোচ বুদ্ধিমান। সঠিক সময় সরে গিয়েছে। নয়তো হয়ত ওকে সরিয়ে দেওয়া হত। নিজে সরে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রত্যাবর্তনের একটা সুযোগ করে দিয়েছে। এবার ভাল দল হয়েছে। কিন্তু দলকে এক জায়গায় আনতে পারেনি কুয়াদ্রাত। ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে গিয়েছে। এবার হয়তো ইস্টবেঙ্গল নতুন দিশা দেখবে। এইসব ক্লাব রেজাল্ট ভিত্তিক। প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা যায় দল কেমন খেলবে। উনি দলকে সংগঠিত করতে পারেনি।' তিনি কুয়াদ্রাতের সরে যাওয়া সমর্থন করলেও, ময়দানের আরেক প্রাক্তন তারকা মনে করছেন, কোচ বদলে বিরাট সাফল্য আসবে না। অমিত ভদ্র বলেন, 'কোচ সাফল্য না পেলে সরে যেতে হয়। ব্যতিক্রম হয়নি। যে আসবে তার পক্ষে এই দলের সঙ্গে সেট হতে সময় লাগবে। নতুন করে কম্বিনেশন গড়তে সময় লাগবে। তাই আমার মনে হয়, কোচ বদলে আহামরি কিছু হবে না। একটা দুটো ম্যাচে ছোটখাট ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে। এই জায়গা থেকে প্লেয়ারদেরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভাল থাকতে হবে। একইসঙ্গে সাপোর্টারদের সমর্থন দরকার। এরকম পরিস্থিতিতে ক্লাবের পরিবেশে একটা প্রভাব পড়ে। যার ফলে প্লেয়াররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে না।' এদিন কুয়াদ্রাত প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।