আজকাল ওয়েবডেস্ক: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাবর আজম। বুধবার সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করেন বাবর। তাঁর নেতৃত্বে কোনও বড় টুর্নামেন্ট জেতেনি পাকিস্তান। ২০১৯ সালে প্রথমবার অধিনায়ক করা হয় তাঁকে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপের আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে আবার বাবরকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু এবারও সাফল্য দিতে ব্যর্থ। টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপের আগে তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন বাবর। তাঁর পদত্যাগের পর সাদা বলের ক্রিকেটে শাহিন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করা হয়। টেস্টে অধিনায়ক করা হয় শান মাসুদকে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪-১ এ সিরিজ হারের পর শাহিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাদা বলের ক্রিকেটে আবার ফিরিয়ে আনা হয় বাবরকে। লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক থাকেন মাসুদই। কিন্তু আবার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবর। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। 

বাবরের পদত্যাগ নিয়ে নেটদুনিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। অনেকেই লিখেছেন, বাবর আজম পদত্যাগ নম্বর দুই। অনেকেই আবার পরিসংখ্যান ধরে লেখেন, ছয় টুর্নামেন্টে ট্রফির সংখ্যা শূন্য। একজন ফ্যান লিখেছেন, অধিনায়কত্ব ফেরত পেতে শাহিনকে বরখাস্ত করান। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে দু'বার পদত্যাগ করার নজির গড়লেন। অনেকেই মনে করছেন, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত হয়নি তাঁর। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় বাবরের। মোট ৫৪ ম্যাচ খেলেছেন। রান ৩৯৬২। স্ট্রাইক রেট ৫৪.৬৩। ২০১৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেট হাতেখড়ি হয়। ১১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। রান ৫৭২৯। স্ট্রাইক রেট ৮৮.৭৫। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। ১২৩ ম্যাচ খেলে ৪১৪৫ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ১২৯.০৮। টি-২০ বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রথম ম্যাচ হারে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এরপর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ৭ অক্টোবর মুলতানে প্রথম টেস্ট শুরু। প্রথম দুটো টেস্ট মুলতান এবং শেষ টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে হবে।