আজকাল ওয়েবডেস্ক: দশ বছর আগে যখন আইএসএলে কলকাতার একমাত্র ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন কলকাতার ফুটবলকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে চান। কথা রেখেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ১০ বছরে চারটে ট্রফি। দু'বার চ্যাম্পিয়ন, দু'বার লিগ শিল্ড জয়ী। ক্লাবস্তরে লক্ষপূরণ হয়ে গিয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য চাইছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, 'দশ বছরে চারটে ট্রফি। এর থেকে ভাল কী হতে পারে। আমরা রেজাল্ট দেওয়ার জন্য খেলি। যেকোনও ট্রফি জিতলেই ভাল লাগে। আগের বছরের সঙ্গে এটার কোনও পার্থক্য নেই। সব সাফল্যই সমান। জাতীয় পর্যায়ে সবকিছু পাওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য।' 

ফুটবলভক্ত শহরের শিল্পপতি। কাজের ফাঁকে প্রায়ই মোহনবাগানের খেলা দেখতে মাঠে আসেন। চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে উপস্থিত থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু নব্বই মিনিটের শেষে যেভাবে আবেগের ঢেউয়ে ভেসে গেলেন, না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করা যাবে না। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা মাত্র মাঠে প্রবেশ করেন গোয়েঙ্কা। প্রথমেই কোচকে আলিঙ্গন। তারপর ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানান। সবুজ মেরুন আবিরে নিজেকে রাঙিয়ে ফেলেন। মাঠের সেলিব্রেশন পর্ব চুকিয়ে আসেন সাংবাদিক সম্মেলনে। একা নয়, ছিল মোহনবাগানের পঞ্চপাণ্ডব। কর্তা, কোচ, অধিনায়ক, মরশুমের সেরা বিদেশি, জয়ের কারিগর সবাই হাজির ছিল। ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হোসে মোলিনা, শুভাশিস বসু, জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস। অভিনব পদ্ধতিতে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানায় টিম মোহনবাগান। কলকাতায় অনেক দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু এইভাবে পাঁচজন একসঙ্গে এসে কখনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়নি। ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলেন গোয়েঙ্কা, মোলিনা, জেমিরা।‌ হাসিমুখে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার।

সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, 'খুশির দিন। এই জয় কোচ, খেলোয়াড়, অধিনায়ক এবং সমস্ত সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিল্ড জয়। ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে আমরা ইতিহাস গড়লাম। আমাদের সমর্থন করুন। আমরা শিল্ডের পর ট্রফিও উপহার দেব।' এর আগে হাবাস এবং মোলিনার হাত ধরেই এটিকের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার এই দুই স্প্যানিশ কোচই মোহনবাগানকে পরপর লিগ শিল্ড এনে দিয়েছে। কোন জয়ে বেশি তৃপ্তি বাগানের কর্ণধার? সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, 'সব জয়ই স্পেশাল। সেটা এটিকের হয়ে হোক বা এমবিএসজির হয়ে হোক।' গোয়েঙ্কা জানিয়ে দিলেন, মোহনবাগানের পাশাপাশি ভারত জেতায় জোড়া খুশির আবহ সবুজ মেরুন শিবিরে।

ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী