আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মহেন্দ্র সিং ধোনি। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। ১১ বছর আগে একটি মামলা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া সেই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে ২০২৫ সালে। ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় ধোনির বয়ান রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি।


২০১৪ সালে দুই সংবাদমাধ্যম ও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন ধোনি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আলোচনার সময় তাঁর নাম নেওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে। আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার কারণে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। সেই সময় অন্য দলের হয়ে খেলেছিলেন ধোনি। চেন্নাইয়ের প্রত্যাবর্তনের পর একটা অনুষ্ঠানে গড়াপেটার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। তিনি বুঝিয়েছিলেন, এই ঘটনা তাঁকে কতটা ধাক্কা দিয়েছে। তাই গড়াপেটায় তাঁর নাম নেওয়ায় চুপ থাকেননি ধোনি। সরাসরি মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেন।


বিচারপতি সিভি কার্তিকেয়ন এক জন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিযুক্ত করেছেন। তিনি ধোনির বয়ান রেকর্ড করবেন। সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারতেন ধোনি। কিন্তু তিনি গেলে তাঁকে দেখতে অনেকে জড়ো হবেন। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। তাই তাঁর বয়ান রেকর্ড করে আনা হবে।


এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধোনির তরফে পিআর রমন একটা হলফনামা জমা দিয়েছেন। সেখানে আবেদন করা হয়েছে, এই মামলা যাতে আর বেশি দিন ফেলে রাখা না হয়। হলফনামায় লেখা, ‘‌যাতে অকারণে দেরি না করে মামলার দ্রুত ও ন্যায্য নিষ্পত্তি করা হয় তার জন্যই এই হলফনামা। শুনানির সময় আদালত যা যা প্রমাণ চাইবে তা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করা হবে। আদালতের কাছে অনুরোধ, দ্রুত শুনানি শুরু হোক।’‌ সেই অনুরোধ মেনেই শুনানি শুরু হতে চলেছে।

 

আরও পড়ুন:‌ রেলকে বেলাইন করে কলকাতা লিগে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল, উঠে এল শীর্ষে...


আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ধোনি। দীর্ঘদিন। এখন শুধু আইপিএল খেলেন। তবে পরের বছর খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। ফিটনেসের উপর সবটাই নির্ভর করছে। 

এটা ঘটনা কয়েক বছর ধরেই মেসির আইপিএল অবসর নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু সেই জল্পনাকে উড়িয়ে প্রতি বছরই মেসি নেমে পড়েন আইপিএল খেলতে। ২০২৫ সালেও খেলেছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে সেভাবে ছাপ রাখতে পারেননি। তবে উইকেটের পিছনে এখনও তিনি অন্যতম সেরা।


দেশকে অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ধোনি। ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে শেষবার দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালে দল হেরে গিয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপেও ছিলেন ধোনি। অধিনায়ক বিরাট। সেবারও সেমিফাইনালে বিদায় নেয় ভারত। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে। শেষ চেষ্টা করেছিলেন ধোনি। কিন্তু একটুর জন্য রান আউট হয়ে যান। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান মাহি।