আজকাল ওয়েবডেস্ক: হার্নান ক্রেসপোর ২২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন লাউতারো মার্টিনেজ। ইন্টার মিলানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ক্লাব প্রতিযোগিতায় এক মরশুমে নয় গোল করার নজির গড়লেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ক্রেসপোর। ২০০২-০৩ সালে এই নজির গড়েন তিনি। ২২ বছর পর ভাঙল সেই রেকর্ড। ২০১৮ সালে রেসিং ক্লাব থেকে ইন্টার মিলানে যোগ দেন আর্জেন্টাইন। তারপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকানো নেই। এদিন স্যামুয়েল এটো, আদ্রিয়ানোদের ছাপিয়ে যান মার্টিনেজ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত অনিশ্চিত ছিলেন লিয়নেল মেসির সতীর্থ। কিন্তু বার্সেলোনার বিরুদ্ধে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। স্যান সিরোতে দ্বিতীয় লেগের আগে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ওপেনিং লেগের প্রথমার্ধের শেষে উরুতে চোট পান মার্টিনেজ। বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেননি। ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত দলের সঙ্গে সমস্ত ট্রেনিং সেশন মিস করেন। যার ফলে ধরেই নেওয়া হয় যে আর্জেন্টাইন তারকাকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে প্রথম একাদশেই রাখা হয় তাঁকে। ম্যাচ শেষে মাঠে ফেরার শারীরিক এবং মানসিক লড়াইয়ের কথা জানান। মার্টিনেজ বলেন, 'আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম। আমি পা তুলতে পারছিলাম না। চোট পাওয়ার পরের দু'দিন আমি বার্সেলোনায় বাড়িতে শুয়ে কেঁদেছি। আমি সারা সপ্তাহে ডবল ট্রেনিং সেশন করে ফিট হওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপর পায়ে শক্ত করে ব্যান্ডেজ বেঁধে নেমে পড়ি।'
এমন একটি ম্যাচ মিস করবেন ভাবতেই পারছিলেন না মার্টিনেজ। তাই ফিট হতে জানপ্রাণ লড়িয়ে দেন। যার প্রভাব পড়ে তাঁর পরিবারের ওপরও। মার্টিনেজ বলেন, 'এইধরনের ম্যাচে থাকতেই হয়। আমি স্ত্রী এবং বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়িতে বসে কেঁদেছি। তবে খেলব বলে ওদের প্রতিজ্ঞা করি। আমার মাও চিন্তিত ছিল। সারা সকাল ধরে আমাকে ফোন করেছে। কিন্তু আমি ধরিনি, কারণ মা খুব চিন্তা করে।' চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ৭১ মিনিট পর্যন্ত খেলেন মার্টিনেজ। ইন্টার মিলানের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় ইতালির ক্লাব। পেনাল্টি পেছনেও তাঁর অবদান রয়েছে।
