আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাটল না জট। হচ্ছে না শনিবারের ডার্বি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল আইএফএ। দর্শক সংখ্যা কমিয়ে ডার্বি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সম্ভব হল না। মিলল না পুলিশের অনুমতি। যার ফলে ১৯ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুলাই কল্যাণী স্টেডিয়ামে ডার্বি অনুষ্ঠিত হবে। এত অল্প সময়ে দর্শকদের টিকিট সংগ্রহের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আইএফএর পক্ষ থেকে ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণে যায় পুলিশের আধিকারিকরা। গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। দর্শকসংখ্যা কমিয়ে ডার্বি করার প্রস্তাব দেওয়া হয় আইএফএর পক্ষ থেকে। এদিন দুপুরে শোনা গিয়েছিল, পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকেই এগোচ্ছে। শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বি আয়োজিত হবে। কিন্তু শেষমেষ ফিট সার্টিফিকেট পেল না কল্যাণী স্টেডিয়াম। হাতে মাত্র একদিন। তারমধ্যে টিকিট ছাপা এবং বণ্টনের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। যার ফলে পিছিয়ে গেল মরশুমের প্রথম ডার্বি। ১৯ জুলাইয়ের বদলে ২৬ জুলাই কল্যাণীতেই হবে কলকাতা লিগের ডার্বি।  

বুধবার দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়ামেই ডার্বি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, কল্যাণী পৌরসভার প্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী এবং পুলিশের আধিকারিকরা।‌ সেই বৈঠকেই শনিবার ডার্বি আয়োজন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ওঠে। তারপর দিনভর নাটক চলে। বুধবার রাতে শোনা গিয়েছিল, বাতিল হতে পারে ডার্বি। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। দুপুরে শোনা যায়, নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে কলকাতা লিগের ডার্বি। কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত এক সপ্তাহ ডার্বি পিছিয়ে দেওয়া হল। 

ফ্যান পার্ক, ফুড স্টল, অনলাইন টিকিট স্ক্যানার সহ আরও বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা ছিল আইএফএর। অন্যান্যবার অনলাইনে টিকিট কাটলেও, ম্যাচের দু'দিন আগে বা আগের দিন যুবভারতীর বক্স অফিস বা দুই ক্লাব থেকে টিকিট তুলতে হয়। কিন্তু এবার কল্যাণী স্টেডিয়ামের বিভিন্ন গেটে স্ক্যানার রাখার ব্যবস্থা করছিল আইএফএ। কিন্তু শেষপর্যন্ত ডার্বি পিছিয়ে গেল। এর আগেও মাঠ এবং পরিস্থিতির কারণে কলকাতার বাইরে ডার্বি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতবছর আইএসএলের ডার্বি গুয়াহাটিতে হয়। কিন্তু এবার কলকাতা ডার্বি অন্যত্র করার সম্ভাবনা ছিল না। এইমুহূর্তে কল্যাণী স্টেডিয়াম ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। প্রথমে ডার্বি দিয়ে নবরূপে সজ্জিত বারাসত স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করার কথা হয়েছিল। কিন্তু এখনও স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। কাজ চলছে। শেষ হতে আরও এক মাস লাগবে। তাই কল্যাণী স্টেডিয়ামে ডার্বি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আয়োজনের সময়ের অভাবে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ।