আজকাল ওয়েবডেস্ক: এজবাস্টনে ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। শুক্রবার মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। বাড়িয়ে দেন ব্রিটিশদের ফলো অনের আশঙ্কা। কিন্তু চিত্রনাট্য বদলে দিলেন জেমি স্মিথ। তিনি ক্রিজে নামার সময় কাঁপছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। নির্ভরযোগ্য জো রুট প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন। প্রথম বলেই শূন্যতে আউট হন বেন স্টোকস। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারের কিছুটা ঘাবড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু হল উল্টো। নির্ভীক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখলেন স্মিথ। ভয়ডরহীন ক্রিকেট। দলের মধ্যে 'বাজবল' স্টাইল গেঁথে দিয়েছেন ব্রেন্ডড ম্যাকালাম। এদিন তারই কিছুটা ঝলক মিলল। হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে ১৫৫ বলে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান ইংল্যান্ডের।
শুরুতে সিরাজের জোড়া উইকেটে মনে হয়েছিল এই সেশন ভারতের। আরও কয়েকটা উইকেটের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু অনবদ্য স্মিথ। একের পর এক শট খেললেন। ৮২ বলে ১০২ রানে অপরাজিত। তারমধ্যে রয়েছে ৩টি ছয়, ১৪টি চার। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন হ্যারি ব্রুক। ১২৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত। এইধরনের খেলা দেখতে মাঠ ভরায় দর্শকরা। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটারের মনোভাবের প্রশংসা করতেই হবে। এখনও ৩৩৮ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচাতে প্রয়োজন ১৩৯ রান। যেভাবে এগোচ্ছে এই জুটি, ফলো অন বাঁচানো অসম্ভব নয়। এজবাস্টনে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫১০ রানে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। এদিনের শুরুতেই জো রুটকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। ২২ রানে আউট হন। পরের বলেই আউট বেন স্টোকস। কিন্তু পরপর জোড়া উইকেট তুলে নেওয়ার ফায়দা তুলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। দুই তরুণ ব্যাটারের সামনে আত্মসমর্পণ করেন শুভমন গিলরা। সেশনের শুরুটা ভারতের হলে, শেষটা ইংল্যান্ডের। মধ্যাহ্নভোজের আগের ওভারে শতরান সম্পূর্ণ করেন স্মিথ। একশোর দোরগোড়ায় ব্রুকও। লিডসে মাত্র এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছিলেন। এবার আর সেই ভুল করতে চাইবেন না। তবে টেস্ট জিততে হলে লাঞ্চের পরপরই এই পার্টনারশিপ ভাঙতে হবে ভারতীয় বোলারদের।
