আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২০ মিনিটের টানটান উত্তেজনা। ম্যাজিকাল পারফরম্যান্সে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান। দুই সেমিফাইনাল মিলিয়ে গড় ৭-৬। দশ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার হাতছানি ছিল বার্সার সামনে। ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর ফাইনালে ওঠেনি স্প্যানিশ ক্লাব। কিন্তু হাতছাড়া হল। স্যান সিরোয় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। ২-০ তে এগিয়ে যাওয়ার পর ২-৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মিলান। নব্বই মিনিটের শেষে ৩-৩। শেষপর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে ফাইনালের টিকিট সংগ্রহ করে ইতালির ক্লাব। পিএসজি এবং আর্সেনালের ম্যাচের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যৌথ সর্বোচ্চ গোলের সেমিফাইনাল। এর আগে ২০১৮ সালে রোমাকে ৭-৬ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল। 

গত সপ্তাহে ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগ ৩-৩ গোলে শেষ হয়। এদিন সেই ম্যাচকেও ছাপিয়ে যায়। ঘরের মাঠে দাপুটে শুরু ইন্টার মিলানের। লাউতারও মার্টিনেজ এবং হাকান কালহানোলুর পেনাল্টিতে বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মিলান। প্রথম ৪৫ মিনিট পুরোপুরি ব্যাকফুটে বার্সা। ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে স্পেশাল কিছু করে দেখাতে হত। তাই হয়। ছয় মিনিটের মধ্যে এরিক গার্সিয়া এবং দ্যানি ওলমোর গোলে স্যান সিরোকে স্তব্ধ করে সমতা ফেরায় বার্সা। এরপর ৮৮ মিনিটে রাফিনার গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মনে হয়েছিল মিউনিখের টিকিট সংগ্রহ করে ফেলেছে কাটালানরা। কিন্তু নাটক আরও বাকি ছিল। 

ম্যাচের ৯৩ মিনিটে ৩-৩ করে ইন্টার। ফ্রান্সিসকো অ্যাসার্বির গোলে জেগে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। ৩৭ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম গোল করে চোখের জলে ভাসেন। এরপর ঘরের মাঠে সমর্থকদের উপস্থিতিতে এক্সট্রা টাইমে বার্সাকে কোণঠাসা করে দেয় ইন্টার। জয়সূচক গোল ৯৯ মিনিটে। মার্কাস থুরামের পাস থেকে গোল করেন ডেভিড ফ্রাটেসি। তবে হাল ছাড়েনি বার্সেলোনা। এক্সট্রা টাইমের শেষ মিনিটে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। রবার্ট লেওয়ানডোস্কির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তারপর লামিনে জামালের শটে বিশ্বমানের সেভ ইন্টারের গোলকিপার ইয়ান সোমারের।