আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ড সফরে ভারতের দুরন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই সবার অলক্ষ্যে, সকলের অগোচরে হার্দিক পাণ্ডিয়া জানিয়ে দলেন তাঁর সুঠাম-সুন্দর শরীরের রহস্য।
সুঠাম, সুগঠিত ও পেশিবহুল চেহারা হার্দিক পান্ডিয়ার। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ক্রিকেটজীবনে বহুবার চোট সমস্যায় পড়েছেন। আবার চোট সারিয়ে ফিরেও এসেছেন। ব্যক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে উঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। মানসিক দৃঢ়তা না থাকলে দুঃসময় কাটিয়ে ওভাবে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে রয়েছে খাদ্যাভ্যাস।
এহেন হার্দিক পাণ্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে নিজের ফিটনেস রহস্য জানান, ''সবাই জানতে চান— আমি সারা দিনে কী খাই. কীভাবে চলি, আমার খাদ্যতালিকায় কী কী আছে...।''
ক্রিকেট মাঠে তিনি নিজের সেরাটা দেন। একসময়ে অর্থের অভাবে ম্যাগি খেয়ে সারাদিন কাটিয়েছেন। সেই পাণ্ডিয়ার লাইফস্টাইল এখন রীতিমতো নজর কাড়া। ভারতের তারকা অলরাউন্ডার বলছেন, ''প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আগে ৫০০ মিলিলিটার জল পান করি।'' জল পান করে শুরু হয় দিন।
নিজেকে হাইড্রেট করার জন্য কেবল জল খেয়েই দিনের শুরু হয় তাঁর। তার পর পাণ্ডিয়ার গন্তব্য জিম। সেখানে শুরু হয় শরীরচর্চা। বেশ কিছুক্ষণ জিমে কাটিয়ে ঘাম ঝরানোর পর প্রাতঃরাশে স্মুদি খান পাণ্ডিয়া।
এই স্মুদিতে থাকে, কলা, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখীর বীজ, ওটস, আমন্ড ও আমন্ডের দুধ। এই স্মুদি থেকে ৬৫০ ক্যালরি আর ৩০ গ্রাম প্রোটিন ভরা খাবার খান তিনি।লাঞ্চের আগে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাপ্লিমেন্ট খান। এটা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। হঠাৎ হঠাৎ খিদেও পায় না।
হার্দিক বলছেন, অ্যাথলিট হিসাবে তাঁকে সব সময়ে ক্যালরির কথা চিন্তা করতে হয়। অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া একেবারেই নয়। দুপুরে জিরা রাইস, পালকের তরকারি ও ডাল। হিসেব করলে যা দাঁড়ায় ৫৫০ ক্যালরি এবং ২৪ গ্রাম প্রোটিন ।
আর বিকেলে ক্রিকেট অনুশীলনের পর সন্ধ্যায় ৬০০ ক্যালোরি ও ২৮ গ্রাম প্রোটিনসমৃদ্ধ স্ন্যাক্স থাকে তার মেন্যুতে। ওটমিলের মধ্যে মেশানো থাকে ড্রাই ফ্রুট।
ডিনারের সময়ে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাপ্লিমেন্ট খান পাণ্ডিয়া। রাতে টোফু, ব্রাউন রাইস দিয়ে বানানো খাবার থাকে প্লেটে। ডিনারে ২৩৩০ ক্যালরি এবং ১০৬ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান দেশের তারকা অলরাউন্ডার। এই না হলে হার্দিক পাণ্ডিয়া। ক্রিকেটমাঠে তিনি ঘাম ঝরান। তাঁকে নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক। আবার সেই পাণ্ডিয়াই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দেশকে জয় এনে দেন। দুরন্ত পারফরম্যান্সের পিছনে রয়েছে তাঁর এই রুটিন। খেলুন বা না খেলুন এই রুটিন তিনি মেনে চলেন।
