আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত। সেই লক্ষ্যে এবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের লোজানে তিনদিনের গুরুত্বপূর্ণ সফরে ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। ২০২৩ সালে অলিম্পিক আয়োজনের আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার পর এই প্রথমবার ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অলিম্পিক কমিটির সদর দপ্তরে গেল। গুজরাটের ক্রীড়ামন্ত্রী হর্ষ সংঘভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পি টি ঊষা, ক্রীড়া দপ্তরের সচিব হরিরঞ্জন রাও, গুজরাটের মুখ্য ক্রীড়া সচিব অশ্বিনী কুমার এবং আরবান সেক্রেটারি তেন্নারাসান। 

গুজরাটকেই ভারতের পক্ষ থেকে অলিম্পিক আয়োজনের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে এই সফরে। প্রসঙ্গত, নতুন নির্বাচিত অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট কির্স্টি কভেন্ট্রি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, অলিম্পিকের আয়োজক নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় আপাতত কিছুটা ‘পজ ও রিভিউ’ হয়েছে। যার ফলে সময়সীমা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও ভারতের উদ্যোগে তা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করা হচ্ছে। সফরকালীন প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং ভারতের পক্ষ থেকে গুজরাটকেই অলিম্পিক আয়োজনের একটি সম্ভাব্য স্থান বলে তুলে ধরেছেন অলিম্পিক কমিটির কাছে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে ভারতের প্রতিনিধি এবং উদ্যোক্তা নীতা আম্বানির নেতৃত্বে এই বিডকে সমর্থন করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। তিনি আগেই জানিয়েছেন, ‘আমরা ২০৩৬ অলিম্পিকের আয়োজক হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। এটা ভারতের খেলাধুলার ভবিষ্যতের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। অলিম্পিক যেখানে হয়, সেখানকার অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ক্রীড়া সংস্কৃতি সবকিছুই একধাক্কায় উন্নত হয়’। ভারত এখনও পর্যন্ত একবারও অলিম্পিক আয়োজন করেনি। ফলে ২০৩৬ সালে গেমস আয়োজনের এই প্রচেষ্টা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।