আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবার আত্মত্যাগের কাহিনি জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ভারতের অলরাউন্ডার নীতীশ রেড্ডি।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রকাশিত নব্য এক ভিডিওয় নীতীশ রেড্ডি তাঁর উত্থানের কাহিনি শুনিয়েছেন। আর্থিক অনটনের বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে নীতীশ রেড্ডি এখন দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার।
২০২৪ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলে নজর কাড়েন নীতীশ রেড্ডি। ৩০৩ রান করেন রেড্ডি। এমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার হয়েছিলেন তিনি। তার পরেই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তাঁর জন্য। টেস্টে ও টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের হয়ে অভিষেক হয় নীতীশ রেড্ডির। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে পরিবারের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন নীতীশ রেড্ডি।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রকাশিত ভিডিওয় নীতীশ রেড্ডি বলেন,''ছোট বয়সে আমি খুব একটা সিরিয়াস ছিলাম না। আমার বাবা চাকরি ছেড়ে দেন। অনেক আত্মত্যাগের কাহিনি রয়েছে। আর্থিক কষ্ট ছিল। একদিন বাবাকে কাঁদতে দেখেছি। তখন আমার মনে হয়েছিল বাবা এত কষ্ট করছে আর তুমি খেলাটাকেই হালকা ভাবে নিয়েছো। তার পরই আমি সিরিয়াস হই ক্রিকেট নিয়ে। উন্নতি হতে থাকে একটু একটু করে। কঠিন পরিশ্রম শুরু করি। তার ফল পেয়েছি।''
নীতীশ রেড্ডি আরও বলেন, ''মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হিসেবে আমি এখন গর্বিত বাবার জন্য। বাবা যে খুশি হয়েছে তা জেনে আমার খুব ভাল লাগে। আমার প্রথম জার্সি বাবাকে দিই। বাবার মুখে খুশির হাসি লক্ষ্য করেছিলাম।''
পারথে স্বপ্নের অভিষেক হয় নীতীশ রেড্ডির। বিরাট কোহলির হাত থেকে জাতীয় দলের টুপি পান নীতীশ রেড্ডি। প্রথম দিন ভাঙনের মুখে নীতীশ ৪১ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ বলে ৩৮ রান করেন নীতীশ। মিচেল মার্শকে বোল্ড করে নীতীশ বুঝিয়ে দেন তিনি বোলিংয়েও দক্ষ।
