আজকাল ওয়েবডেস্ক: আচ্ছা যদি এমন হত! ভারতের সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন হতেন! তাহলে কি এই পাকিস্তান জিততে পারত ভারতের বিরুদ্ধে? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো মেগাইভেন্টে সফল হতে পারত? 

হতো না। পাকিস্তানের মহিলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সানা মীর পাকিস্তানের হার দেখার পরে এক পাক টিভিতে বলেছেন, ''এমএস ধোনি বা ইউনিস খানকে অধিনায়ক করা হলেও এই পাকিস্তানকে ওরা জেতাতে পারত না। মহম্মদ হাফিজ প্রশ্ন তুলেছে, দুবাইয়ের মতো জায়গায় দু'জন পার্ট টাইম স্পিনারকে নিয়ে কীভাবে পাকিস্তান ম্যাচ জিততে পারবে। আবরার ওয়ানডে ফরম্যাটে একেবারেই নতুন। গত পাঁচ মাসে মাত্র দুটো উইকেট নিয়েছে।'' 

টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট আসে, ভারতের কাছে নিয়ম করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। পরিবর্তন হয় না চিত্রনাট্যে। 

পি টিভিকে সাক্ষাৎকারে সানা মীর আরও বলেন, ''ভারতের বিরুদ্ধে একশো রানে দু'উইকেট যাওয়ার পরে আমার এক বন্ধু মেসেজ পাঠাল। লিখল, আমার মনে হচ্ছে সব শেষ। আমার সেই বন্ধুকে বললাম, যখন দল ঘোষণা করা হয়েছিল, তখনই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। যেদিন এই ১৫ জন প্লেয়ারকে বাছাই করা হয়েছিল, সেদিনই আমরা অর্ধেক টুর্নামেন্ট হেরে বসে রয়েছি।'' 

পাক ক্রিকেট নিয়ে তীব্র সমালোচনা। সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার পর্যন্ত বিস্মিত পাকিস্তানের এমন হতশ্রী অবস্থা দেখে। একসময়ে বলা হত, পাকিস্তানে বোলারের জন্ম হয়। সহজাত ক্রিকেটার প্রচুর রয়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু এখন সেই প্রতিভারই অভাব পাক ক্রিকেটে। বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন তৈরি করার মতো প্রতিভা আর উঠে আসছে না পাকিস্তানের ক্রিকেটে।

ফলে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্যাপ্টেন পাকিস্তানের হাল ধরলেও উন্নতি হবে না ইমারন খানের দেশের। ক্রিকেটাররা মাঠে নেমে খেলার ভোলবদলে দেন। শুনতে খারাপ লাগলেও  পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এখন নিজেদের নামের প্রতিই সুবিচার করছেন না। সেই কারণেই এই হতশ্রী অবস্থা।