আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেন মাতালেন ভারতের তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা। ৩৪ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। ২০ বলে পঞ্চাশ করার পরে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনী দিয়ে 'এল' সেলিব্রেশন ফিরে এল ইডেন গার্ডেন্সে।
তাঁর গুরু যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুততম পঞ্চাশ এদিন করলেন অভিষেক। যুবি ২০০৭ বিশ্বকাপে এই নজির গড়েছিলেন। অভিষেকও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দ্রুততম পঞ্চাশ করলেন।
পঞ্চাশ করার পরে অভিষেকের অনন্য সেলিব্রেশন ফিরে এল ইডেনে। আইপিএলেও একই ভাবে উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। সেই সময়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,''এটা একান্ত ভাবেই আমার আর ট্র্যাভিস হেডের মধ্যে ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা বলি এল ফর লাভ। আমরা ভালবাসা ছড়িয়ে দিচ্ছি।''
ইডেনেও নিশ্চয় ভালবাসা ছড়িয়ে দিলেন অভিষেক। তাঁকে নিয়ে মাতোয়ারা হল কলকাতা। পাঁচটি বাউন্ডার ও আটটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। অভিষেক বললেন, ''আমি জানতাম ওরা আমাকে শর্ট বল দেবে। আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে।''
ভারতীয় দল ভেবেছিল ইংল্যান্ড ১৬০-১৭০-এর কাছাকাছি রান করবে। কিন্তু ১৩২ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ড। অভিষেক বলছেন, ''আমাদের বোলাররা খুব ভাল বোলিং করেছে। সঞ্জুর সঙ্গে পার্টনারশিপ আমি উপভোগ করেছি।''
বরুণ চক্রবর্তী ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঠিকই। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে বাকি কাজটা সারেন অভিষেক। টি-টোয়েন্টি এমনই এক খেলা,যেখানে দ্রুত দুটো উইকেট হারালেই প্রতিপক্ষ ম্যাচের উপরে জাঁকিয়ে বসবে। সঞ্জু ও সূর্যের উইকেট দ্রুত পড়লেও ইংল্যান্ডকে ম্যাচের উপরে প্রাধান্য বিস্তার করতে দেননি অভিষেক। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ তিনি নিয়ে যান ভারতের সাজঘরে।
