আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ সামি মনে করালেন সেই আপ্তবাক্য। তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করে নিলেন। দ্রুততম বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেন। দশ ওভার বল করলেন। রান দিলেন ৫৩। তাঁর ফিটনেস নিয়ে ওঠা যাবতীয় প্রশ্নকে উড়িয়ে দিলেন মাঠের বাইরে।
সামি দেখালেন ঠিক যেখানে তিনি শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই এদিন শুরু করলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে সামি আগুন জ্বালিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের পরে জানা যায়, গোড়ালির চোট নিয়েই তিনি খেলেছেন। অস্ত্রোপচার করে ১৪ মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ফেরেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরা না থাকায় সামিই রোহিত শর্মার প্রধান অস্ত্র। সেই সামি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ২০০টি ওয়ানডে উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন। ১০৪ টি ম্যাচে মহম্মদ সামি এই নজির গড়লেন। কিন্তু তাঁর বলের সংখ্যা ৫১২৬। মিচেল স্টার্ক তাঁর থেকে ২টি ম্যাচ কম খেলে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। কিন্তু বেশি বল করেছেন। অজি তারকার ডেলিভারির সংখ্যা ৫২৫০টি।
পাকিস্তানের স্পিনার সাকলিন মুস্তাকও ১০৪টি ম্যাচে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁন। ৫৪৫১ বলে ২০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছোঁন তিনি। ব্রেট লি এবং ট্রেন্ট বোল্ট রয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।
জাকের আলির উইকেট নিয়ে সামি নতুন মাইলস্টোন ছোঁন। এর আগে আইসিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি বলেছেন, ''আইসিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি বলেছেন, ''বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলাম। সেখান থেকে অস্ত্রোপচারের টেবিল, খুবই কঠিন ছিল আমার কাছে।''
সামি আরও বলেন, ''প্রথম দু' মাস সন্দেহ ছিল চোটের পরে আমি কি আর খেলতে পারব। ক্রিকেট থেকে ১৪ মাস সরে থাকা একজন ক্রিকেটারের সব কিছু কেড়ে নিতে পারে।''
সেই সামি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই নজির গড়লেন।
