আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার থেকে শুরু হবে ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজ। সিনিয়র বোলারদের অনুপস্থিতিতে গোয়ালিয়রের অভিষেক হতে চলেছে মায়াঙ্ক যাদবের। মাত্র চারটে আইপিএল ম্যাচের ভিত্তিতে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেস সেনসেশন।চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার আগে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে নজর কাড়েন। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেন মায়াঙ্ক। সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ফিটনেসের পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা। কিন্তু এই তরুণ স্পিডস্টারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটেছে। প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস মাঠে বাইরে থাকার পর সরাসরি বাংলাদেশ সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেই নিজের ফিটনেস এবং টেম্পারামেন্টের পরিচয় দিতে হবে মায়াঙ্ককে। আইপিএলের সেই ফর্ম এবার দেশের জার্সিতেও দেখাতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।
মায়াঙ্কের পাশাপাশি হরষিত রানা, নীতিশ কুমার রেড্ডিরও দেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে সুযোগ পান নীতিশ। কিন্তু চোটের জন্য ছিটকে যান। জিম্বাবোয়ে সিরিজে থাকলেও হারারেতে খেলার সুযোগ পাননি হরষিত। সামনেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থাকায়, শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়েসওয়াল, মহম্মদ সিরাজ এবং অক্ষর প্যাটেলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সিনিয়রদের মধ্যে আছেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই সদস্য অর্শদীপ সিং এবং শিবম দুবেও দলে রয়েছে। সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়ায় ওপেন করতে দেখা যাবে অভিষেক শর্মাকে। তাঁর সঙ্গে নামতে পারেন সঞ্জু স্যামসন। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করার আরও একটা সুযোগ পাবেন রিয়ান পরাগ। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যেতে পারে রবি বিষ্ণোইকে। রিজার্ভ উইকেটকিপার হিসেবে দলে থাকলেও আইপিএলের পর আর খেলেননি জীতেশ শর্মা। তাঁর প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা অবশ্য কম। পরের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চারটে টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। তারই মহড়া হিসেবে নেওয়া হচ্ছে এই সিরিজকে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি খেলতে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেবে ভারতের সিনিয়র দল। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জুনিয়রদের ওপরই ভরসা রাখা হবে। তাই অভিষেক, মায়াঙ্ক, নীতিশদের কাছে এটা অ্যাসিড টেস্ট।
