আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের বাইশ গজে নামার আগেই বড় ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির দাম। এশিয়া কাপের আগে খুবই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিলদের জার্সি। প্রধান স্পনসর ড্রিম ইলেভেন সরে যাওয়ার পর, টিম ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল জার্সির ওপর ৮০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে অ্যাডিডাস। ড্রিম ইলেভেনের লোগো লাগানো ভারতের টি-২০ দলের জার্সির দাম ১১৯৯। অ্যাডিডাস ওয়েবসাইট থেকে এই জার্সি পাওয়া যাবে। এর আগে এই একই জার্সির দাম ছিল ৫৯৯৯। 

শুধুমাত্র গিলদের জার্সিতে নয়, স্মৃতি মান্ধানাদের জার্সির দামও কমেছে। ভারতীয় মহিলা দলের টেস্ট জার্সিতে ছাড় চলছে। মাত্র ১১৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে জার্সি। কাকতালীয়ভাবে প্রধান স্পনসর ড্রিম ইলেভেন সরে যাওয়ার পরই ছেলেদের এবং মেয়েদের জার্সির দাম কমল। কিন্তু অ্যাডিডাসের পক্ষ থেকে কোনও কারণ জানানো হয়নি। ড্রিম ইলেভেন সরে যাওয়ার পর কোনও প্রধান স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে নামবে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসরশিপ থেকে সরে যায় ওপো‌। নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগেই সরে যায় মোবাইল কোম্পানি। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের মূল স্পনসর ছিল বাইজু। 

প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য মূল স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই। ভারত সরকার অনলাইন গেমিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর সরে গিয়েছে ড্রিম ইলেভেন। তারপর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোনও প্রধান স্পনসর নেই। নতুন করে টেন্ডর নেওয়া হবে। বিড করা যাবে। তবে তার আগে বেশ কয়েকটা নতুন নিয়ম চালু করছে বোর্ড। বিডিংয়ে অংশ নিতে পারবে না কোনও গেমিং সংস্থা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত সংস্থা। ২০২৫ প্রমোশন এবং রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট চালু হওয়ার পর ভারতীয় দলের মূল স্পনসরশিপ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ভারতীয় ক্রিকেটে মাই সার্কেল এবং ড্রিম ইলেভেনের প্রচুর অবদান রয়েছে। টাইটেল স্পনসরশিপের বাবদ ভারতীয় দল এবং আইপিএলে ১০০০ কোটি লগ্নি করে ফেলেছে এই দুই সংস্থা। এবার বিডারদের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পেশ করে বোর্ড।

লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল আগেই, রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায় ‘দ্য প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’। সংসদের উচ্চ কক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিতর্ক ছাড়াই ধ্বনিভোটে পাশ হয় বিলটি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলেই বলবৎ হবে আইনটি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিলটির লক্ষ্য ই-স্পোর্টস এবং ক্যাজুয়াল গেমিংকে উৎসাহিত করা। তবে আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি এবং নিরাপত্তা হুমকির উদ্বেগের কারণে অর্থের বিনিময়ে গেমিং এবং গড়াপেটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।