আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঋষভ পন্থ বলেন, ''সেটব্যাককে আমি কামব্যাকে পরিণত করেছি।'' তিনি রান করছেন, সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন, ফিরে আসার নতুন নতুন সব গান গাইছেন। কিন্তু ভারতকে জেতাতে পারছেন না। তিনি সেঞ্চুরি করলে হার হজম করছে ভারত। পরিসংখ্যান সেরকমই বলছে। পন্থ ভক্তদের হতাশা বাড়ারই কথা।
হেডিংলিতে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশো রান করে টেস্ট ম্যাচ জিতে গেল। পারল না ভারত। অথচ হেডিংলিতে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন পন্থ।
অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকায় করা সেঞ্চুরিগুলোও ব্যর্থ হয়েছে। তিনি সে়ঞ্চুরি করেছেন অথচ ভারত জয়হীন থেকেছে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে এর আগেও পন্থের ব্যাট গর্জে উঠেছে। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। বছর তিনেক আগে এজবাস্টনে পন্থ প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৪৬ রান। ৩৭৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। সেই রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
এ তো গেল ইংল্যান্ডের কথা। ২০২২ সালের
কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পন্থ খেলেছিলেন ১০০ রানের ইনিংস। ভারত করেছিল ১৯৮ রান। সেই টেস্ট হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে।
২০১৯ সালে পন্থের ১৫৯ রান সত্ত্বেও ভারত হারাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়াকে। টেস্ট ম্যাচের কেন্দ্র ছিল সিডনি। প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৬২২। সেই টেস্ট ম্যাচ ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে শেষ হয়ে যায়। শেষ দিন প্রবল বৃষ্টিতে খেলাই হয়নি।
এখানেই শেষ নয়। ইংল্যান্ডে হৃদয় ভাঙার আরও একটি গল্প রয়েছে পন্থের। ২০১৮-র ওভালে পন্থ সেঞ্চুরি করলেও জিততে পারেনি ভারত। টার্গেট ছিল ৪৬৪ রান। ভারত শেষ হয়ে যায় ৩৪৫ রানে। ইংল্যান্ড টেস্ট জিতে নেয়।
দেখা যাচ্ছে পন্থের ব্যাট গর্জে উঠছে, সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে কিন্তু দিনান্তে হেরে যাচ্ছে ভারত। একবার-দু'বার নয়, একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে পন্থের সঙ্গে।
