আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মিলল কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ বছর পর আবার ভারতে বসতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমসের আসর। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব দিল ভারত। আমেদাবাদ শহরে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা করতে হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে। কমনওয়েলথ গেমসের খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। 


২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল ভারত। বুধবার সাধারণ সভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। পুরোদস্তুর প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের অলিম্পিক্স কমিটির (আইওএ) যুগ্ম সচিব কল্যাণ চৌবে। কানাডা ইতিমধ্যেই নাম তুলে নেওয়ায় ভারতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। তাদের লড়াই নাইজেরিয়ার সঙ্গে। এ ছাড়া আয়োজনের প্রস্তাব দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও।


কর্মসমিতির সদস্য রোহিত রাজপাল বলেছেন, ‘‌২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমস হবে পূর্ণাঙ্গ মাপের। আমরা যে খেলাধুলোয় ভাল সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে যাতে পদকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ে।’‌ এটা ঘটনা, ২০২৬ সালের গ্লাসগো গেমসে হকি, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি এবং শুটিংয়ের মতো ইভেন্ট নেই, যেগুলো থেকে ভারত নিয়মিত পদক জিতেছে। রাজপাল আরও যোগ করেছেন, ‘‌তিন ধরনের খেলা থাকে। প্রথমত, কমনওয়েলথ গেমসের মূল খেলা যা প্রতি বারই হয়। দ্বিতীয় ভাগে থাকে আয়োজক দেশের পছন্দের খেলা এবং তৃতীয় ভাগে অতিরিক্ত খেলা। ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ঐতিহ্যশালী এবং স্বদেশি খেলাধুলো রাখব আমরা। শুটিং, তিরন্দাজি, কুস্তি, কবাডি, খো খো–র মতো খেলা থাকবে।’‌

 

আরও পড়ুন:‌ চোট পিছু ছাড়ছে না, দলীপ ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন আকাশদীপ


কমনওয়েলথ স্পোর্টসের গেমস ডিরেক্টর ডারেন হল সম্প্রতি আমেদাবাদে এসে পরিকাঠামো দেখেছেন এবং গুজরাট সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এ মাসের শেষে আরও একটা বড় দলের আসার কথা। নভেম্বরের শেষে ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজকদের নাম ঘোষণা করা হবে।


প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ভারত এক বারই কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছে। সেটা ২০১০ সালে। সে বার খেলাধুলো ছাপিয়ে শিরোনামে এসেছিল অব্যবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতি। অ্যাথলিটস্‌ ভিলেজ, স্টেডিয়াম–সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক দেরি হয়, বাজেট বেড়ে যায়, নেহরু স্টেডিয়ামে ফুটব্রিজ ভাঙায় অনেক শ্রমিক আহত হন। এ সব দেখে অনেক খেলোয়াড় নাম তুলে নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল সে বার। আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ কালমাডিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। স্কটল্যান্ড, কানাডার মতো দেশ অব্যবস্থা দেখে দেরিতে ক্রীড়াবিদদের পাঠিয়েছিল। আর তাই খুব সাবধানে ২০৩০ সালের জন্য পা ফেলতে চাইছে ভারত। 

এদিকে, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্সও আয়োজন করতে চায় ভারত। সেটাও গুজরাটের আমেদাবাদে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রতিনিধিরা। সরকারি ভাবে আবেদন করা হয়েছে। ২০২৮ সালে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস এবং ২০৩২ সালের অলিম্পিক্স হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তার পরের অলিম্পিক্স নিজেদের দেশে করতে চায় ভারত। সেই চেষ্টাই চলছে। এর পাশাপাশি ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দাবি জানানো হল।

 

 


‌