আজকাল ওয়েবডেস্ক: মালদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ জিতলেও, এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে বাংলাদেশের কাছে আটকে গেল ভারত। মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। গোটা ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল মানোলো মার্কুয়েজের দলের। সুনীল ছেত্রীকে প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তারমধ্যে গোটা ম্যাচে যে কয়েকটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেটা কাজে লাগাতে পারেনি সুনীল, ফারুকরা। ঘরের মাঠে পয়েন্ট নষ্ট করল ব্লু টাইগার্সরা। হেরেও মাঠ ছাড়তে পারত ভারতীয় দল। কিন্তু শেষদিকে মানোলোর দলকে বাঁচান বিশাল কাইথ। ফিফা তালিকায় অনেক নীচে থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনওক্রমে ড্র করল ভারত। তবে প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীদের বিরুদ্ধে এদিন যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে সুনীলরা। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিতে পারেনি ভারত। ২০০৩ সালে শেষবার ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে ব্লু টাইগারদের জয়জয়কার। কিন্তু এদিন ভারতীয় দলকে চেনা যায়নি। ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খোয়াল।
ব়্যাঙ্কিংয়ে, ধারে-ভারে ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকলেও এদিন প্রায় সমান টক্কর দেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই বিশালের জোড়া ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ওপার বাংলার দল। তারমধ্যে একবার পরিত্রতার ভূমিকা পালন করেন শুভাশিস বসু। প্রথমার্ধে ভারতের সুযোগ কম। প্রথম সুযোগ ৩০ মিনিটে। লিস্টনের ক্রস থেকে উদান্তর হেড প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে গোল করতে পারেননি ফারুক। বাংলাদেশের সেরা সুযোগ ৪১ মিনিটে। প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজার ক্রস থেকে জনি গোলে ঠেলার আগেই বাঁচান বিশাল। বিরতিতে গোলশূন্য ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই খোলস ছেড়ে বেরোয় ভারত। মূলত দুই উইং দিয়েই আক্রমণ তৈরি হয়। বিরতির পর চোখে পড়ে সুনীলকে। কয়েকটা সুযোগও পান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। শেষদিকে আক্রমণ বাড়ায় ভারত। ৮৩ মিনিটে গোল মিস সুনীলের। বাইরে হেড করেন। এই ম্যাচের জন্য অবসর ভেঙে ফিরেছেন সুনীল। ন'মাস পরে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই গোল পেয়েছিলেন। এদিনও তাঁকে কেন্দ্র করেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন মানোলো। কিন্তু ঘরের মাঠে পয়েন্ট নষ্ট কিছুটা হলেও চাপে ফেলবে ভারতীয় দলকে।
