আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্রেয়স আইয়ারকে বাদ দেওয়ার পেছনে কোনও ভূমিকা নেই গৌতম গম্ভীরের। এমনই দাবি বোর্ডের এক সূত্রের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়কের বাদ পড়া নিয়ে চর্চা চরমে। অনেকেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচকে দায়ী করেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, এতে কোনও হাত নেই গম্ভীরের। মুম্বইয়ে দল নির্বাচনের বৈঠকে তিনি ছিলেন না। এটা সবাই জানে। কিন্তু শোনা গিয়েছিল, ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন গম্ভীর। কিন্তু বোর্ডের এক সূত্রের দাবি, বৈঠকের অঙ্গ ছিলেন না টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে হাজির ছিলেন বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া, মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর, শিব সুন্দর দাস, সুব্রত ব্যানার্জি, অজয় রাত্রা এবং শ্রীধরন শরৎ। এছাড়াও ছিলেন টি-২০ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
এই সূত্র জানায়, 'গৌতম নির্বাচনী বৈঠকের অঙ্গ ছিল না। ও ভিডিও কলেও যোগ দেয়নি। সাধারণত দল নির্বাচনের অঙ্গ কোচরা। কারণ ওদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্লেয়ার বাছা হয়। তবে ওরা বৈঠকে থাকে না। কোনও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে তাঁদের বৈঠকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।' যার ফলে ভাবা হচ্ছে, শ্রেয়স আইয়ার এবং যশস্বী জয়েসওয়ালকে বাদ দেওয়ার পেছনে গম্ভীরের হাত নেই। তবে এটা যদি হয়, সেক্ষেত্রে দলের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে কোচ কীভাবে যুক্ত? বোর্ডের সূত্র জানান, 'কোচ ২৫-২৭ জনের প্লেয়ারের পুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হেডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। ফিটনেস কোচ, স্ট্রেন্থ ট্রেনার এবং ব্যাকরুম স্টাফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। যারা প্লেয়ারদের নিয়ে তথ্য দিতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০ জন প্লেয়ারকে বেছে নেয়। চূড়ান্ত দল নির্বাচক কমিটি বেছে নেয়।'
বোর্ডের সূত্রের দাবি, দল নির্বাচনে কোচের আর কোনও ভূমিকা থাকে না। এরপর ম্যাচের আগে কোচ এবং অধিনায়ক মিলে প্রথম একাদশ বেছে নেয়। বোর্ডের সূত্রের দাবি, বৈঠকে কোনও প্লেয়ারকে বাদ দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় না। আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। এশিয়া কাপের দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আইপিএলের পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের ভাবনাও ছিল নির্বাচকদের মাথায়। প্রসঙ্গত, নাইটদের চ্যাম্পিয়ন করেন গম্ভীর-শ্রেয়স জুটি। কয়েকদিন আগে ভারতের কোচ জানান, টি-২০ দল বাছার ক্ষেত্রে আইপিএলের পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে দলে নিঃসন্দেহ সুযোগ পাওয়া উচিত শ্রেয়সের। কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করার পর পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও দাপুটে পারফরম্যান্স। দলকে ফাইনালে তোলেন। পাশাপাশি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। তাসত্ত্বেও ব্রাত্য। শ্রেয়সের বাদ পড়ায় অবাক হরভজন সিং, রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মেনে নিতে পারেননি গম্ভীরের এককালীন ডেপুটি অভিষেক নায়ারও। সরাসরি দাবি করেন, বোর্ডের নির্বাচকদের নেকনজরে নেই শ্রেয়স।
