আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ছিলেন। কিন্তু একটি টেস্টেও খেলার সুযোগ পাননি। ভারতীয় দল বারেবারে ভরসা রেখে গিয়েছে করুণ নায়ারের উপর। কিন্তু একটি অর্ধশতরান ছাড়া চারটি টেস্টে তিনি তেমন কিছুই করতে পারেননি। করেছেন মাত্র ২০৫ রান।


প্রসঙ্গত, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ডাক পেয়েছিলেন ভারতের টেস্ট দলে। সেই ২০২২ সাল থেকে প্রায় তিন বছর প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ সফরে দলে থেকেছেন। কিন্তু এখনও টেস্ট অভিষেক হল না বাংলার প্রাক্তন অধিনায়কের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে সাই সুদর্শন, অংশুল কম্বোজদের অভিষেক হয়েছে। আট বছর পর টেস্ট খেলেছেন করুণ নায়ারও। একটি নয়, চার চারটি টেস্ট খেলেছেন। অথচ অপেক্ষা শেষ হল না অভিমন্যু ঈশ্বরনের।


প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড সফরের মাঝেই ছেলের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন ঈশ্বরণের বাবা রঙ্গনাথন ঈশ্বরণ। আশা করেছিলেন, পঞ্চম টেস্টে খেলার সুযোগ পাবেন। তা–ও না হওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিমন্যু। তবে ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর নাকি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, অভিমন্যুর প্রতি তিনি অবিচার করবেন না। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন রঙ্গনাথন।


অভিমন্যুর বাবা বলেন, ‘গম্ভীর আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, অবিচার হবে না।’ কী বলেছেন ভারতীয় দলের কোচ? রঙ্গনাথন বলেন, ‘গম্ভীর আমার ছেলেকে বলেছেন, ‘তুমি ঠিক কাজ করছো। সঠিক পথে আছো। তোমার সুযোগ আসবেই। দীর্ঘ দিন খেলবে তুমি। এক–দুটো ম্যাচ দেখে কাউকে সরিয়ে দিই না। তোমাকে যথেষ্ট সুযোগ দেব।’ অভিমন্যু আমাকে বলেছে, জাতীয় দলের সব কোচিং স্টাফরাই ওকে আশ্বস্ত করেছেন। ঠিক সময় পর্যাপ্ত সুযোগ ওকে দেওয়া হবে। বলতে পারেন এটুকুই প্রাপ্তি। আমার ছেলে চার বছর ধরে অপেক্ষা করছে। ২৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে ও।’


রঙ্গনাথনের কথায়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে খেলার সুযোগ না পাওয়ার পর অভিমন্যু দলীপ ট্রফি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। রঙ্গনাথন বলেছেন, ‘আপাতত অভিমন্যু বেঙ্গালুরু যাবে। ওখানে ১০–১২ দিন থাকবে। দলীপ ট্রফির প্রস্তুতি নেবে। তার পর কয়েক দিনের জন্য বাড়ি ফিরবে। দেহরাদুনে কয়েকটা দিন বিশ্রাম নেবে। তার পর খেলতে চলে যাবে।’


রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড সফরে শেষ টেস্টেও খেলার সুযোগ না পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিমন্যু। তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে পঞ্চম টেস্টে সুযোগ না পেয়ে মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছিল অভিমন্যু। ছেলেটার মনে একটা আশা তৈরি হয়েছিল।’ কী কথা হয়েছিল ছেলের সঙ্গে? রঙ্গনাথন বলেছেন, ‘ফোন তুলেই অভিমন্যু আমাকে বলেছিল, ‘বাবা এ বারও সুযোগ পেলাম না।’ ওকে বললাম, তুই তোর স্বপ্নপূরণ করেছিস। বাকিটা তোর হাতে নেই। ও উত্তরে আমাকে বলেছিল, ‘আমি বুঝতে পারছি বাবা। ২৩ বছর ধরে স্বপ্নপূরণের জন্য পরিশ্রম করেছি। একটা বা দুটো ম্যাচে খেলতে না দিলে আমি ভেঙে পড়ব না।’


প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ভারতের আরও দুটো টেস্ট সিরিজ রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দু’টেস্টের সিরিজ খেলবেন শুভমন গিলরা। সেখানে কি সুযোগ মিলবে ১০৩টে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান করা ঈশ্বরনের?‌ সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।