আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটার রামিজ রাজা তীব্র আক্রমণ করেছেন জিম্বাবোয়ের ম্যাচম রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে। গত রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচের পর থেকেই চর্চায় পাইক্রফ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ টসের সময়ে তিনি সলমন আলি আঘা ও সূর্যকুমার যাদবকে হ্যান্ডশেক করতে বারণ করেছিলেন। পাকিস্তানের তরফ থেকে নালিশ জানানো হয়, এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচে যেন পাইক্রফ্টকে দাঁড় করানো না হয়। বুধবার গোটা দিন নাটক চলে।

একসময়ে খবর ছড়িয়েছিল আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কট করবে পাকিস্তান। কিন্তু শেষমেশ খেলতে নামে পাকিস্তান। জানা যায় পাইক্রফ্ট ক্ষমা চেয়ে নেন পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা ও পাকিস্তান দলের কাছে। আমিরশাহিকে হারিয়ে সুপার ফোরে যায় পাকিস্তান। রবিবার ফের মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। 

আরও পড়ুন: দুবাইয়ে উঁচু ক্যাচ ধরতে হার্দিকদের আর সমস্যা হচ্ছে না, এই সমস্যার সমাধান হল কীভাবে জেনে নিন...

জিম্বাবোয়ের ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টের সমালোচনা করে রামিজ রাজা বলেন, ''ভারতীয়দের পছন্দের ব্যক্তিত্ব অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট। টিম ইন্ডিয়ার প্রতিটি ম্যাচে পাইক্রফ্টকে দেখা গিয়েছে। ভারতের প্রায়  ৯০টি ম্যাচেই তিনি ম্যাচ রেফারি হিসেবে ছিলেন। এটা নিতান্তই একপেশে। এটা নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম। এই ব্যাপারটাকে চালিয়ে যেতে দেওয়া যায় না। আমার মনে হয়ে পাইক্রফ্টকে ফিক্স করা হয়েছে।'' 

 পাক বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পাইক্রফ্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি পেশ করে পিসিবি জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট পাকিস্তানের ম্যানেজার এবং অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনিই গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের অধিনায়ককে বলেছিলেন করমর্দন না করতে। ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পাইক্রফ্ট। আইসিসিও বলেছে, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখবে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের এই দাবিও খণ্ডন করছে আইসিসি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সূত্র বলছে, পাইক্রফ্ট শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। নিয়ম ভাঙার জন্য নয়। তাছাড়া আইসিসির প্রাথমিক তদন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। নতুন করে তদন্ত হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে পাইক্রফ্ট নিয়ে নতুন কী তথ্যপ্রমাণ পাক ক্রিকেট বোর্ড দিতে পারে, তার উপর ভিত্তি করে।  

পিসিবির আর এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেঠি বলেন, ''খেলাধুলাকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়েছে পিসিবি। আমি চেয়ারম্যান থাকার সময়ও এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতাম। অথচ ওরা (ভারত) রাজনীতি করছে। আমরা কিন্তু কিছু করিনি। আমরা ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম। উনি (পাইক্রফ্ট) ক্ষমা চেয়েছেন। আসলে ক্রিকেটই জিতেছে। সকলে আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। অন্য দিকে, ভারতের ভূমিকা নিয়ে সকলের প্রতিক্রিয়াও আপনারা জানেন।’'
নকভি জানিয়েছেন, তাঁদের এশিয়া কাপ বয়কটের অবস্থানে সমর্থন ছিল পাক সরকারের। তিনি বলেছেন, ''আমরা যদি প্রতিযোগিতা বয়কটের পথে হাঁটতাম, তা হলে সেটা খুব বড় একটা সিদ্ধান্ত হত। প্রধানমন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকরা এবং আরও অনেকে জড়িত ছিলেন পুরো বিষয়টার সঙ্গে। সকলেই আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা যা করার পরিস্থিতি বুঝেই করেছি।''

আরও পড়ুন:  সূর্যকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ, 'অশিক্ষিত' বলে ইউসুফকে পালটা দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার