আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময়ে বলা হত, মাইকেল বিভান ও স্টুয়ার্ট ল ওয়ানডের সেরা  বাজি। 

সেই স্টুয়ার্ট ল-য়ের হাতে এখন চাকরি নেই। তিনি চাকরি খুঁজছেন। লিঙ্কডইন প্রোফাইলে চাকরির আবেদনে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার লিখেছেন, ''আমি নতুন কাজ খুঁজছি। আপনাদের সমর্থন পেলে খুশি হব। ক্রিকেট কোচের ভূমিকায় কাজ খুঁজছি। যদি কোনও সুযোগ থাকে বা আমাকে প্রয়োজন হয়, অনুগ্রহ করে আমাকে বার্তা পাঠাবেন অথবা নিচে মন্তব্য করবেন। আমি যোগাযোগ করব।'' 

স্টুয়ার্ট ল নামটা উচ্চারণ করলে মনে পড়ে মোহালিতে তাঁর বলে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বিশাল এক ছক্কা। 

স্টুয়ার্ট ল নামটা উচ্চারণ করলেই মনে  পড়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তাঁর ও মাইকেল বিভানের  দুরন্ত পার্টনারশিপ। যার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ চারের সেই ম্যাচে ৭২ রানে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল। 

সেই প্রাক্তন অজি তারকা এখন বেকার। তিনি ক্রিকেট কোচ ও সহকারীর ভূমিকায় কাজ করতে চান।

২০১১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। প্রায় ৯ মাস কাজ করেছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে  বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও হেড কোচ ছিলেন স্টুয়ার্ট ল। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন তিনি। গত অক্টোবরে সেই চাকরি যায় প্রাক্তন অজি তারকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক খেলোয়াড় তাঁর বিরুদ্ধ বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনেন। 
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচেরও দায়িত্ব পালন করেন স্টুয়ার্ট ল। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ অজি দলেরও কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। 

স্টুয়ার্ট লয়ের কোচিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে পৌঁছেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানকে হারিয়ে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

চাকরি হারিয়ে এখন বেকার স্টুয়ার্ট ল। চাকরি খুঁজছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। লিঙ্কডইনে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। একসময়ের ডাকসাইটে ক্রিকেটারের আজ কি করুণ পরিণতি।