আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার যুবভারতীর বাইরে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। সমর্থকদের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু এই বিক্ষোভ শেষমেষ শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। লাঠি চার্জ করে পুলিশ। অনেককেই আটক করা হয়। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তারমধ্যে অনেককেই তখনই ছাড়িয়ে নেন কল্যাণ চৌবে। কিন্তু ফেডারেশন সভাপতি আসরে নামার আগেই ছ'জনকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতেই তাঁদের ছড়িয়ে নেন ফেডারেশন সভাপতি। নিজে লালবাজারে গিয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী। সমর্থকদের ছাড়িয়ে বেরোনোর সময় কল্যাণ চৌবে বলেন, 'ওরা কেউ তো অপরাধী নয়। ওরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা একসঙ্গে প্রতিবাদে নেমেছিল। পুলিশ আটক করে।' আটক করা ছ'জন সমর্থককে পরের দিন কোর্টে তোলার কথা ছিল। কিন্তু ফেডারেশন সভাপতির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি এতদূর যায়নি। 

এদিকে ডার্বি বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ফেডারেশন সভাপতি। কল্যাণ চৌবে বলেন, 'ডার্বি বাতিল করা উচিত হয়নি। খেলা বাতিলের পর সমর্থকদের বিক্ষোভ আটকাতে এবং গ্রেপ্তার করতে যত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তার অর্ধেক পুলিশ দিয়ে ডার্বি করা যেত।' সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনের দিকে আঙুল তোলেন ফেডারেশন সভাপতি। শিলং এবং জামশেদপুরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে কলকাতায় সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হওয়া। প্রয়োজনে সেগুলোও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে জামশেদপুরে। এর পক্ষে নয় ফেডারেশন সভাপতি।