আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে বসে ফোন ঘাঁটছিলেন ছত্তিশগড়ের গারিয়াবাঁদ জেলার মাডাগাঁও গ্রামের ২১ বছরের যুবক মণীশ বিসি। আর তাতেই এক নয়া অভিজ্ঞতা হল মণীশের জীবনে। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, ঘটনার শুরু হয় জুন মাসের শেষের দিকে। দেবভোগের একটি মোবাইল দোকান থেকে নতুন সিম কিনেছিলেন মণীশ। এক সপ্তাহ পর বন্ধুর সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপ সেট আপ করতে গিয়ে দেখেন প্রোফাইল ছবিতে ভেসে উঠেছে মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটার রজত পাতিদারের ছবি। প্রথমে এটাকে প্রযুক্তিগত ত্রুটি মনে করলেও দিনকয়েক পর চমকে যান তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই মেসেজ আসতে শুরু করে মণীশের কাছে। আর সেই মেসেজ ছিল বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, যশ দয়াল সহ একাধিক তারকার। সকলেই তাঁকে ‘রজত’ বলে সম্বোধন করছিলেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক রজত পাটিদারের পুরনো মোবাইল নম্বর তাঁর হাতে চলে আসে কোনওভাবে। আর তাতেই মণীশের জীবনে আসে নয়া চমক। জানা গিয়েছে, প্রথমে মজা ভেবে মণীশ ও তাঁর বন্ধুরা প্রায় দু’সপ্তাহ এই কথোপকথন চালিয়ে যান। পরে জানা যায়, টেলিকম নিয়ম অনুসারে ছয় মাস নিষ্ক্রিয় থাকার পর নম্বরটি পুনরায় বরাদ্দ করা হয়েছিল। গারিয়াবাঁদ জেলার পুলিশ সুপার নিখিল রাখেচা জানান, ‘আমরা নম্বরটি এখন রজত পাতিদারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি’।
বিভ্রান্তির সূত্রপাত হয় যখন পাতিদার নিজের পুরনো নম্বরে প্রবেশ করতে না পেরে মধ্যপ্রদেশ সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন। তারা গারিয়াবাঁদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মণীশের গ্রামে পৌঁছে সিম উদ্ধার করে রজত পাতিদারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। বিরাট কোহলির ভক্ত মণীশ বলেন, ‘ঘটনাটা ভুলতে পারব না কখনও। আশা করি একদিন পাতিদারের সঙ্গে দেখা হবে’। রজত পাতিদার এখনও এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু মন্তব্য করেননি। তবে মণীশের কাছে এই স্বল্পস্থায়ী পরিচয় বিভ্রাট ক্রিকেট তারকাদের সঙ্গে যোগাযোগের এক অবিস্মরণীয় সুযোগ এনে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে রজত পাতিদারের নেতৃত্বেই ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিবি। অধিনায়ক হিসেবে একটি বিরল কৃতিত্ব করে ফেলেছেন রজত পতিদার। আইপিএল ইতিহাসে তিনি প্রথম অধিনায়ক যিনি একই মরসুমে ওয়াংখেড়েতে গিয়ে জিতেছেন। কলকাতায় জিতে গিয়েছেন। চিপকেও জয় পেয়েছেন। এই বিরল নজির পতিদারের পাশাপাশি করেছে আরসিবিও। ২০১২ সালে এই নজির গড়েছিল পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু সেবার দুই জন আলাদা অধিনায়কের নেতৃত্বে এসেছিল জয়। কলকাতায় কেকেআরকে হারিয়েছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে। আর ওয়াংখেড়ে ও চিপকে মুম্বই ও চেন্নাইকে হারিয়েছিল ডেভিড হাসির নেতৃত্বে। তাই পাতিদারই প্রথম অধিনায়ক যিনি একই মরসুমে কলকাতা, ওয়াংখেড়ে ও চিপকে জিতে আসলেন।
