আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ডের খারাপ ফর্ম অব্যাহত। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও সিরিজ হার। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়েছে হ্যারি ব্রুকের দল। ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারল ইংল্যান্ড।লর্ডসে হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাঁচ রানে হারে ইংল্যান্ড। তবে উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা যায়নি প্রোটিয়াদের। লজ্জায় মাথা নত করে মাঠ ছাড়েন ব্রুকরা। এই হারের ফলে সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করল। 

একদিনের ক্রিকেটে শোচনীয় অবস্থা ২০১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে ২১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৭টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। তারপর ভারতের কাছে সিরিজ হার। একমাত্র সাফল্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেটা অধিনায়ক হিসেবে হ্যারি ব্রুকের প্রথম সিরিজ ছিল। আইসিসি একদিনের ব়্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে ইংল্যান্ড।এইভাবে চলতে থাকলে, সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেতে সমস্যা হবে। বর্তমানে আফগানিস্তানের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে। একনম্বরে থাকা ভারতের থেকে ৩৭ পয়েন্ট পিছিয়ে। ২০২৭ বিশ্বকাপে ১৪টি দল অংশ নেবে। টুর্নামেন্টের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে এবং নামিবিয়া। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবোয়ে। কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে খেলতে হবে নামিবিয়াকে। দু'জন আয়োজক দেশ এবং প্রথম আট দল সরাসরি বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পাবে। 

ভাগ্য বদলের জন্য এখনও ১৮ মাস পাবে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ রয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। পরের বছর বেশ কয়েকটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ রয়েছে। পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেবে। তারপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ। ইংল্যান্ডের সমস্যা হল, তাঁদের নীচে যে দলগুলো রয়েছে, তাঁরা দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলবে। দুটো দল ইংল্যান্ডকে পেরিয়ে যেতে সক্ষম হলে, কোয়ালিফায়ারে খেলে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে ব্রুকদের।