আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে শহর কলকাতায় ফিরে এলেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার মহম্মদ রশিদ। ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলারকে নিয়ে আবেগের বিস্ফোরণ লাল-হলুদ জনতার মধ্যে। ইস্টবেঙ্গবলের জার্সি পরে মাঠে নামার পর থেকেই ভক্ত-সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছেন প্যালেস্তাইনের ফুটবলার। তাঁকে নিয়ে বাধ ভাঙা আবেগ দেখা গিয়েছিল ডার্বি জয়ের অব্যবহিত পরেই।
ইস্ট-মোহন বড় ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক বৈঠকে সৌভিক চক্রবর্তী, কোচ অস্কার ব্রুজোঁ বলেছিলেন, ম্যাচটা জিতে রশিদকে উৎসর্গ করতে চান। ডার্বি জয়ের পরে অভাবনীয় দৃশ্যর জন্ম দিয়েছিল যুবভারতী। প্যালেস্তাইন তারকার ৭৪ নম্বর জার্সি হাতে নিয়ে রশিদকে জয় উৎসর্গ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। বুধবার সকালে রশিদ ফিরে এলেন শহরে। তাঁর মুখ থমথমে। বিকেলে দলের সঙ্গে তিনি মাঠেও যান। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড় তালিকায় অস্কার ব্রজোঁ তাঁকে স্কোয়াডে রেখেছেন। রশিদ কলকাতায় পা রাখা ইস্তক শোনা যাচ্ছিল, তিনি নিজে এই ম্যাচে মাঠে নামতে চাইছেন। কিন্তু দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকল কাটিয়ে কি এমন আবেগের একটা ম্যাচে নামা সম্ভব? অভিজ্ঞ অস্কার হয়তো প্রয়োজনে তাঁকে ব্যবহার করবেন।
আরও পড়ুন: গোল পেলেন এমবাপে, জয় দিয়ে লা লিগা অভিযান শুরু রিয়ালের
ডার্বির ঠিক আগে পিতৃবিয়োগের খবর পেয়ে চলে গিয়েছিলেন রশিদ। বাবার প্রয়াণ সংবাদ শুনে ফিরে যাওয়া এবং তার পরে মাঠে নেমে ঝড় তোলা মনে করিয়ে দেয় শচীন তেণ্ডুলকরকে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন বাবার প্রয়াণের খবর শোনার পরে দেশে ফিরে এসেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। বাবার শেষকৃত্য সেরে কেনিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শচীন। শতরান করে বাবাকে খুঁজেছিলেন আকাশে। খেলার মাঠে এমন সাররিয়ালিস্ট ছবি প্রায়ই দেখা যায়।
ফিরে আসি রশিদের কথায়। প্যালেস্টাইনের এই ফুটবলার লড়াকু যোদ্ধা। তিনি নিজেই একসময়ে বলেছিলেন, ''অসম্ভব বলে কোনও শব্দ প্যালেস্তিনীয়দের অভিধানে নেই। জন্ম থেকেই আমরা যোদ্ধা।''
