ইস্টবেঙ্গল - ৩ (ডেভিড, জেসিন-২)
ডায়মন্ড হারবার - ১ (কিমা)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডায়মন্ড হারবার ম্যাচে জেতার পর মাঠেই শুরু হয়ে গেল জেসিন, বিষ্ণুদের সেলিব্রেশন। কলকাতা লিগ কার্যত পকেটে। ৪০তম খেতাবের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার বৃষ্টিস্নাত কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবারকে ৩-১ গোলে হারাল বিনো জর্জের দল। ম্যাচের দুই গোলদাতা ডেভিড লালনসাঙ্গা এবং জেসিন টিকে। জোড়া গোল কেরলের স্ট্রাইকারের। ২২ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। সুপার সিক্সের প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে ছয় পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। শেষ ম্যাচ জিতলে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন। ড্র করলেও সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে দেখা হবে গোল পার্থক্য। এই মুহূর্তে গোল পার্থক্যে এগিয়ে লাল হলুদ। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। রবিবাসরীয় বিকেলে বৃষ্টিভেজা স্টেডিয়ামে হাফ ডজন বা তারও বেশি গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল। একাধিক সুযোগ মিস করে শেষ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে উত্তেজনা বজায় রাখে।
প্রথমার্ধ ইস্টবেঙ্গলের। আগাগোড়া আধিপত্য বিনো জর্জের দলের। বৃষ্টিস্নাত কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে শুরুতে মানিয়ে নিতে একটু সময় নেয় দু'দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ১৫ সেকেন্ডের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডায়মন্ড হারবারের রুহুল কুদ্দুস। পরিবর্তে নামেন শুভদীপ ঘোষ। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল। সেদিন যেখানে শেষ করেছিল, এদিন সেখান থেকেই শুরু করে লাল হলুদ। প্রথম থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় অমন, বিষ্ণুরা। ভেজা মাঠে শুরুতে কিছুটা সমস্যায় পড়ে দুই দলের ফুটবলাররা। তবে দু'দলের মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে অন্তত তিন বা তারও বেশি গোলে এগিয়ে যেতে পারত বিনোর দল।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম সুযোগ ম্যাচের ১৬ মিনিটে। অমন সিকের থেকে বিষ্ণুর শট। বক্সের ওপর দিয়ে ভেসে যায়। এদিন মাঝমাঠে অসংখ্য পাস খেলে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। তুমুল বৃষ্টি। ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ হলেও গ্যালারি ফাঁকা ছিল। তেমন দর্শক ছিল না মাঠে। তবে তাতে লাল হলুদের খেলায় কোনও প্রভাব পড়েনি। অমন, বিষ্ণু, সায়নের ত্রিফলা আক্রমণে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণ। গোলের জন্য ২৬ মিনিটে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। অমন বক্সের মধ্যে বিষ্ণুকে চিপ করে। বাঁ দিক থেকে বক্সের মধ্যে মাইনাস। ডেভিড লালনসাঙ্গার গোল।
প্রথমার্ধে ডায়মন্ড হারবারের সুযোগ মাত্র দুটো। শুভদীপের হেড তালুবন্দি করে ইস্টবেঙ্গল কিপার দেবজিৎ। শেষদিকে জবি ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে দেবজিতের গায়ে মারেন। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে বিষ্ণু, সায়নরা। নয়তো প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে যেতে পারত। বিরতির পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ডায়মন্ড হারবার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জবি জাস্টিনের শট বাঁচান দেবজিৎ। কিছুক্ষণ পর লাল হলুদের রিজার্ভ বেঞ্চের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় ডুরান্ড কাপের রানার্সরা। ম্যাচের ৭২ মিনিটে সমতা ফেরান কিমা। পলের ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল সাইরুয়াতকিমার। কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারেনি। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সায়নের পাস থেকে ডান পায়ের আলতো টোকায় ২-১ করে ইস্টবেঙ্গল। এরপরও গোলের সুযোগ পেয়েছিল বিনোর দল। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের গোলকিপার সুস্নাত এগিয়ে আসা সত্ত্বেও ফাঁকায় গোল পেয়েও মিস করেন জেসিন। তবে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে প্রায়শ্চিত্ত করেন জেসিন। নিজের দ্বিতীয়, এবং দলের তৃতীয় গোলটি করেন কেরলের স্ট্রাইকার।
