আজকাল ওয়েবডেস্ক: আনোয়ার ইস্যুতে সদ্য জোড়া ধাক্কা খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। চার মাস পাওয়া যাবে না তারকা ডিফেন্ডারকে। সঙ্গে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তারওপর দুটো উইন্ডোতে প্লেয়ার রেজিস্ট্রশন করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে প্রাথমিক ধাক্কা খেয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনায়। নড়বড়ে রক্ষণের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন মোহনবাগান থেকে আসা তারকা ডিফেন্ডার। কিন্তু বর্তমানে আনোয়ারকে নিয়ে ভাবছেন না কুয়াদ্রাত। ফুটবলার নথিভুক্ত করাতে না পারার বিষয়টিও মাথায় নেই। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, নিজের হাতে যা নেই, সেই নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। কোনও অজুহাত দিতে চান না। কুয়াদ্রাত বলেন, 'আনোয়ার ক্লাবের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। কিন্তু এটা আমাদের হাতে নেই। সবকিছু ঠিকঠাক করার চেষ্টা চলছে। দেখা যাক কী হয়। ওকে পেলে অবশ্যই ভাল হত। কিন্তু আমরা কোনও অজুহাত দিতে চাই না। আমরা প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার চেষ্টা করব। আমরা মোট তিনজন প্লেয়ারকে পাব না। তবে কিছুই আমাদের হাতে নেই। ট্রেভর মর্গ্যানের পর এবার প্রথম একই কোচ রয়েছে। সেই জমানায় ইস্টবেঙ্গল অনেকগুলো ট্রফি পেয়েছে। কিন্তু আমাদের জয়ের শতাংশ বেশি। গতবছর ৩৭ ম্যাচের মধ্যে আমরা ৪৫ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এবার আরও ভাল পারফর্ম করার চেষ্টা করব।'

নিশু কুমার, প্রভাত লাকরা ছাড়া সবাইকেই পাবে ইস্টবেঙ্গল। আগের বছর আইএসএলের শুরুটা ভাল হয়নি লাল হলুদের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের পর একটানা বেশ কয়েকটা ম্যাচে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে এবারের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই প্রথম থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপাবে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত বলেন, 'আমরা নিজেদের কাজটাই করতে চাই। আমরা প্রথম থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপাব। বেঙ্গালুরু থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চাই। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচটা প্রতিযোগিতামূলক হবে। আমার কান্তিরাভায় পাঁচ বছর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে। ওরা ঘরের মাঠে খুবই শক্তিশালী। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি।'

আইএসএলে এখনও সাফল্য নেই ইস্টবেঙ্গলের। তবে এবার সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে মরিয়া লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। এই প্রথম দলে স্থায়িত্ব আছে। কোচ বদলায়নি। ফুটবলারদের কোর গ্রুপ একই আছে। তাই আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, 'এবার ক্লাবে কোচ বদলায়নি। দলে স্থায়িত্ব আছে। আনোয়ার, জিকসনের মতো প্লেয়ার আছে। আমরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে দল গড়েছি। ডেভলপমেন্ট টিম থেকে বেশ কয়েকজন প্লেয়ার সিনিয়র দলে এসেছে। আমরা সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছি। গত মরশুমে আমরা দশটা ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিলাম। অর্থাৎ তিন ম্যাচে একটা ক্লিনশিট। এবার আরও উন্নতি করতে চাই। প্রত্যেক ম্যাচে আমরা গোল সংখ্যা বাড়াতে চাই। আমাদের লক্ষ্য প্রথম ছয়ে থাকা। তারপর চারটে ম্যাচ বাকি থাকে। তখন সবকিছুই সম্ভব।' এবার হেক্টর ইউস্তের সঙ্গে জুটি বাঁধবে হিজাজি মাহের। নতুন পার্টনারের সঙ্গে মিলে ক্লিনশিট রাখাই লক্ষ্যে। সুনীল ছেত্রী বা পেরেরা ডিয়াজকে নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন না লাল হলুদ ডিফেন্ডার। দল হিসেবে বেঙ্গালুরুকে রোখাই লক্ষ্য হিজাজির। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেড়ে দুপুরের বিমানে বেঙ্গালুরু রওনা দিল ইস্টবেঙ্গল দল।