আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরনো দলের বিরুদ্ধে জিততে পারলেন না। ফুটবলার হিসেবে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন লাল হলুদকে। কিন্তু কোচ মেহতাব হোসেন হেরে গেলেন পুরনো দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।
ধুঁকতে থাকা রেলকে হাসতে হাসতে বেলাইন করে দিল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন সায়ন ব্যানার্জি। প্রথমার্ধেই দু’টি গোল করে ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের হাতের মুঠোয় এনে দেন তিনি। এদিন নৈহাটি থেকে তিন পয়েন্ট পাওয়ার ফলে গ্রুপ এ’তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল লাল–হলুদ ব্রিগেড। রেলকে হারাল ৩–০ গোলে।
সিনিয়র দল দুরন্ত খেলে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছে। এবার কলকাতা লিগেও ছন্দে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এদিনের ম্যাচে কোনও সিনিয়র ফুটবলারকে ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছিলেন কোচ বিনো জর্জ। সাত ম্যাচে একটা মাত্র ম্যাএচ জয়ের মুখ দেখা রেলওয়ে এফসির বিরুদ্ধে তাঁর ভরসা ছিল জুনিয়ররা। তবে এদিন প্রথম একাদশে ছিলেন অধিনায়ক সৌভিক চক্রবর্তী। ছিলেন পিভি বিষ্ণুও।
অন্যদিকে, রেলের কোচ হিসাবে এটাই দ্বিতীয় ম্যাচ প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল তারকা ফুটবলার মেহতাব হোসেনের। অবনমনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা রেল আগের ম্যাচে ড্র করলেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিততে পারলেন না মেহতাবের ছাত্ররা। মঙ্গলবার মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন সায়ন। ম্যাচের শেষদিকে অতিরিক্ত সময়ে এসে আরও একটি গোল করে ইস্টবেঙ্গল। গোল করে যান নাসিব রহমান।
তবে দুরন্ত জয়ের আনন্দেও লাল–হলুদ ব্রিগেডের সমস্যা বাড়াবে চাকু মাণ্ডির লাল কার্ড দেখা। এদিন রেলকে ৩–০ হারানোর পরে গ্রুপ এ’র পয়েন্ট টেবিলে সকলের উপরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট রয়েছে সায়নদের ঝুলিতে। পুলিশ এসির সঙ্গে ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সুরুচি সঙ্ঘ। মোহনবাগান রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
এদিকে, ডুরান্ডের পাশাপাশি কলকাতা লিগ খেললেও আপাতত কলকাতা লিগে দল নামাবে না মোহনবাগান। বুধবার মেসারার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু সেই ম্যাচ তারা খেলবে না। আইএফএকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস কর্তৃপক্ষ। শুধু এই ম্যাচ নয়, তাঁদের ডুরান্ড অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা লিগের কোনও ম্যাচে নামবে না সবুজ মেরুন। আইএফএকে এটা লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডুরান্ড কাপের জন্য ১৮ জন ফুটবলার নথিভুক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে ৮–৯ জন নিয়মিত খেলছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জুনিয়র। কলকাতা লিগের বেশ কয়েকজন ফুটবলার ডুরান্ডে নিয়মিত খেলছে। এদের মধ্যে কেউ চোট পেয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে দল। আইএফএকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অবস্থায় ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি কলকাতা লিগ খেলা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, ৮ আগস্ট আইএফএকে চিঠি দেন দলের সিইও বিনয় চোপড়া। সেই চিঠিতেই ডুরান্ড চলাকালীন কলকাতা লিগের কোনও ম্যাচ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি আইএফএ। অনুরোধের তোয়াক্কা না করেই বুধবার ম্যাচ রাখা হয়। প্রথমে এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান মাঠে। কিন্তু ব্রডকাস্ট ব্যবস্থা সম্পূর্ণ না হওয়ায়, ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটিতে। সোমবার রাতে আইএফএকে চিঠি দিয়ে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলবে না তাঁরা। এই বিষয়ে আইএফএর পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানা যায়নি।
