আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'বেন্ট ইট লাইক বেকহ্যাম'। নাইটহুড উপাধি অর্জনের সময় এই লাইনটি মনে করালেন ডেভিড বেকহ্যাম। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ইংলিশ তারকা। চার্লস থ্রি তাঁর কাঁধে তলোয়ার ছোঁয়ান। তাতেই নাইটহুড তকমা পান বেকস। হয়ে যান স্যার ডেভিড বেকহ্যাম। মঙ্গলবার উইন্ডসোর ক্যাসেলে নাইটহুডের অনুষ্ঠানের পর ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক জানান, এটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত। বেকহ্যাম বলেন, 'আমি নিজের কেরিয়ারে খুবই ভাগ্যবান। অনেক কিছু পেয়েছি, অর্জন করেছি। তবে এইধরনের সম্মান গ্রহণ করা, নাইট উপাধি পাওয়া সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কোনওদিন ভাবিনি আমি এই উপাধি পাব।' 

ফুটবল জীবনে একাধিক ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তারকা ক্রিকেটার। কিছু ক্ষেত্রে নিজের ভাবমূর্তিও খারাপ করেন। তবে পরবর্তীতে সেটা শুধরেও নেন। ফুটবলারের পাশাপাশি ফ্যাশন মডেল হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি ছিল। 'স্পাইস গার্লস' ব্যান্ডের ভিক্টোরিয়ার স্বামী বেকহ্যাম। স্পোর্টস এবং সামাজিক কাজকর্মে নিজের অবদানের জন্য 'নাইটহুড' উপাধি পেলেন। গত দুই দশক ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করছেন বেকহ্যাম। ম্যালেরিয়া নিয়েও কাজ করেছেন। লন্ডনের ২০১২ অলিম্পিক পাওয়ার পেছনেও অবদান ছিল তাঁর। 

বেকহ্যাম ইংল্যান্ডের একমাত্র প্লেয়ার যে তিনটে বিশ্বকাপে গোল করেছে। ১৯৯৯ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ত্রিমুকুট জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে ইংল্যান্ডের দল। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৫ ম্যাচ খেলেন বেকহ্যাম। ৫৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৩ সালে ম্যান ইউ ছাড়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ, লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সি, প্যারিস সা জাঁর হয়ে খেলেন। বর্তমানে মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মিয়ামির যুগ্ম মালিক। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে বিতর্কের মুখে পড়েন বেকহ্যাম। আর্জেন্টিনার দিয়েগো সিমিওনেকে লাথি মেরে মাঠ ছাড়ায় বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। ফ্রান্স বিশ্বকাপ থেকে থ্রি লায়ন্সের ছিটকে যাওয়ার জন্য অনেকেই তাঁকে দোষ দেয়। ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি সিরিজে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বেকহ্যাম। জুন মাসে রাজার জন্মদিনের সময় তাঁকে নাইটহুড দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। এদিন পেলেন সেই উপাধি।