আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্টের ঘটনায় চলে গিয়েছে ১১টি তাজা প্রাণ। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। আইপিএল জয়ের পর বিরাটদের সেলিব্রেশন ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। কাতারে কাতারে মানুষ এসেছিলেন স্টেডিয়ামে। অনেকেই ঢুকতে পারেননি মাঠে। যারা পারেননি তারা ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগ এতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। আর তাতেই পদপিষ্টের ঘটনা ও ১১ জনের মৃত্যু।
আরসিবির এই জয়ের পর সেলিব্রেশনকে ‘ভয়ঙ্কর স্বাগত’ বলে অভিহিত করেছেন ভারতের ১৯৮৩–র বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক সৈয়দ কিরমানি। তাঁর কথায়, ‘মৃতদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল। আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের জন্য এটি একটি ‘প্রাণঘাতী’ স্বাগত বলাই যায়। আমাদের সময়ে মিডিয়ার এত রমরমা ছিল না। এমনকী অনেক বাড়িতে টিভিও ছিল না। যার ফলে এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনাও ঘটেনি।’
দেশের হয়ে ৮৮ টেস্ট খেলা কিরমানি মনে করেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘আইপিএল জয়ের জন্য যদি ১৮ বছর অপেক্ষা করা যায়। তাহলে সেলিব্রেশনের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করা যেতেই পারত। তখন উন্মাদনা একটু থিতিয়ে যেত। তখন এটা করলে এই ঘটনা ঘটত না।’
কিরমানির প্রশ্ন, যে ভক্তরা আরসিবির জয়ে আত্মহারা, সেই ভক্তরাই কর্নাটক রনজি ট্রফি জিতলে এই আনন্দ দেখাতেন। কিরমানি বলছেন, ‘এখন ভক্তরা বড্ড বেশি আবেগপ্রবণ। আইপিএল হিরোদের দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ভাবাই যায় না।’
